1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ঝুঁকিপূর্ণ সত্ত্বেও বাড়ছে বেক্সিমকোর শেয়ার দর
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

ঝুঁকিপূর্ণ সত্ত্বেও বাড়ছে বেক্সিমকোর শেয়ার দর

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০
beximco-big

চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর যেখানে ১৩ টাকা ছিল, সেখানে শেয়ারটি বর্তমানে ৪৬ টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে। এই ৫ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৫৪ শতাংশ। কোম্পানিটির পিই রেশিও অনেক আগেই ৪০ পার হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের তালিকায় চলে গেছে। বর্তমানে এর পিই রেশিও ৮২ পয়েন্টের ওপরে অবস্থান করছে। এই রকম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগাকারীদের বাঁধভাঙ্গা আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ইতোমধ্যে সতর্কতাও জারী করেছে। ডিএসই কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষের লিখিত মতামতের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। সতর্কতা জারীর পরের দিন থেকে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে রয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে সেই চক্রটি সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব। কিন্তু বিএসইসি বেক্সিমকোর বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় রয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ অক্টোবর, ২০২০ পর্যন্ত বেক্সিমকো লিমিটেডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিল ৬.৮৮ শতাংশ। যা ৩০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বিদেশিদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৬৭ শতাংশে। অর্থাৎ বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর উল্লম্ফনের মধ্যেই বিদেশিরা অনেক শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বেক্সিমকো লিমিটেড ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২০-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০.১৪ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩১ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফা গত বছরের তুলনায় অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড ছিল। ওই দুই দিনের শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। সপ্তাহের বাকি তিনদিনও শেয়ারটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। বিদায়ী সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৪৪.৬৯ শতাংশ। তবে শেয়ারটির দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর নৈপথ্যে শক্ত হাতের ইন্ধন রয়েছে বলে বাজারে গুঞ্জন রয়েছে। যেই কারণে শেয়ারটির দর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

এদিকে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার ৪১.৮০ টাকা থেকে ৪৬ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ২০৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। উচ্চ দর পেয়ে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারগুলো বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। এই শেয়ারগুলিও বাজারে আসছে। ফলে কোম্পানিটির বিনিয়োগ ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, শেয়ার প্রবাহও তেমনি বাড়ছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ