করোনার বছরে পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৩৬টি কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), রাইট শেয়ার এবং বন্ড ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।
এরমধ্যে ১৫টি কোম্পানিকে আইপিও, ২টি কোম্পানিকে রাইট শেয়ার এবং ১৯টি কোম্পানিকে বন্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। আর তাতে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার থেকে ৯ হাজার ৬৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিগুলো এই অর্থদিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। তাতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, নতুন কর্মসংস্থান।
আইপিওতে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- রবি আজিয়াটা লিমিটেড, এনার্জিপেক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, বিএনও লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড,মীর আক্তার হোসাইন, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং এনআরবিসি কমার্শিয়ার ব্যাংক লিমিটেডসহ ১৫ কোম্পানি।
এগুলোর মধ্যে বরি আজিয়াটা পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা উত্তোলন করবে।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড এবং বিএনও লুব-রেফ (বাংলাদেশ)। কোম্পানি দুটি পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা করে উত্তোলন করবে।
আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তলনের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মীর আক্তার হোসাইন লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশের চতুর্থ প্রজন্মের ব্রাংক এনআরবিসি কমার্শিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করার জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দেশের ইলেক্ট্রকিন পণ্য উৎপাদনে জায়ান্ট কোম্পানি ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করার জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়াও ইন্ডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫০ কোটি টাকা, এসোসিয়েট অক্সিজেন ১৫ কোটি টাকা,এএফসি হেলথ্ ১৭ কোটি টাকা, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেম ৩০ কোটি টাকা,ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স ১৬ কোটি টাকা এবং তৌফিকা ফুডস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩০ কোটি টাকা, সোঁনালী লাইফ ইন্সুরেন্স ১৯ কোটি টাকা, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স ১৬ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করবে।
রাইট অনুমোদন:পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানিকে অগ্রাধিকামূলক শেয়ারের (রাইট) মাধ্যমে ৭৭ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৭৫ টাকা তুলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৩ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ২৬৫ টাকা সংগ্রহ করেছে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর ৫৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এই টাকা দিয়ে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডেরউৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমি ক্রয় ও উন্নয়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানী, কার্যকরী মূলধন সংগ্রহ এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে রাইটস শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বন্ড: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন ১৯টি কোম্পানি বন্ড ইস্যু করেছে।এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো ৮ হাজার ২১৭ কোটি টাকা তুলেছে।
এই বন্ডে বিনিয়োগ করেছে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইসুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাষ্ট, স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।