পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত মোট ৭৮টি বীমা কোম্পানির ৩ হাজার ১৭ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে লাইফ এবং নন-লাইফ কোম্পানিগুলো মোট ৩ হাজার ১৭ কোটি টাকার সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, ২০১৯ সালের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা ও অনুমোদন এবং ২০২০ সালের হিসাব নিরীক্ষার জন্য অডিট ফার্ম নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণ সভায় উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী জীবন বীমা খাতে প্রাইভেট বীমা কোম্পানিগুলির উপার্জিত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ছিল ২০১৯ সালে ৯ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। যা ২০১৮ সালে ছিল ৮ হাজার ৪৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বেসরকারী জীবন বীমা খাতের লাইফ ফান্ড ২০১৯ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ হাজার ৮৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। যা ২০১৮ সালে ছিল ৩০ হাজার ১৪৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বেসরকারি জীবন বীমা খাতে ২০১৮ সালের বিনিয়োগ ২৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা থেকে ২০১৯ সালে ২৮ হাজার ৬৬০ কোটি ২ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।
বেসরকারি খাতে জীবন বীমা কোম্পানির মোট সম্পদ ২০১৮ সালে ৩৬ হাজার ৩৯৪ কোটি ২ লাখ টাকা থেকে ২০১৯ সালে ৩৮ হাজার ৮৪৩ কোটি ৭ লাখ টাকায় উন্নীত হয়। অর্থাৎ সম্পদ বেড়েছে ৫৬৮ কোটি টাকা।
নন-লাইফ বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ২০১৮ সালে ছিল ৩ হাজার ৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪১১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এই আয় বৃদ্ধির পরিমাণ শতকরা প্রায় ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ২০১৮ সালে সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৯৭৭ কোটি ৪ লাখ টাকা থেকে ২০১৯ সালে ৮ হাজার ৫৪৫ কোটি ৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। অর্থাৎ নন-লাইফে সম্পদ বেড়েছে ২ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
নন-লাইফ বীমা খাতে ২০১৮ সালের বিনিয়োগ ৩ হাজার ৮০৩ কোটি ৬ লাখ থেকে ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা হয়েছে।
সভায় চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ ড. মো আব্দুস সহিদ এমপি, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবদুল হাফিজ মল্লিক, পিএসসি (অব.),রুপালী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুছ, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম,বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এ কে এম মনিরুল হক, রুপালী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিকে রায়, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস ফারজানা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বীমা শিল্পের বিকাশে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য রাখেন। পরিশেষে বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ করিব হোসেন সমাপনী বক্তব্যে সকলকে একযোগে বীমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।