চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি থেকে জুন) দেশে গ্রিনফিল্ড এফডিআই বা নতুন প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে ৮৪ শতাংশ। যদিও একই সময়ে এশিয়া-প্যাসিফিকের দেশগুলোর মধ্যে গ্রিনফিল্ড এফডিআই শতভাগেরও বেশি বেড়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে আছে ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়া। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ২০২০: নেভিগেটিং দ্য ক্রাইসিস টুয়ার্ডস এ হিউম্যান-সেন্টার্ড ফিউচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আইএলও বলছে, কভিড-১৯-এর কারণে এশিয়া-প্যাসিফিকের শ্রমবাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাজারগুলোয় হারানো কাজের সংখ্যা ৮ কোটি ১০ লাখ। মহামারীর প্রভাবে কর্মঘণ্টা কমে কাজের প্রবৃদ্ধি উল্টো পথে হেঁটেছে এবং লাখো মানুষকে ওয়ার্কিং পভার্টির পথে ঠেলে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোয় আসা গ্রিনফিল্ড এফডিআই বা নতুন প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগপ্রবাহের গতি-প্রকৃতিও তুলে ধরা হয়। গ্রিনফিল্ড এফডিআই কভিড-১৯-এর প্রভাব খতিয়ে দেখতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এ ছয় মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মোট ২৫টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশে গ্রিনফিল্ড এফডিআই বাড়লেও বাকি দেশগুলোয় কভিডের প্রভাবে কমেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ছয় দেশের মধ্যে আছে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মিয়ানমার, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়া। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার গ্রিনফিল্ড এফডিআই বৃদ্ধির হার ১০০ শতাংশেরও বেশি।
জানতে চাইলে আইএলও রিজিওনাল ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যানালাইসিস ইউনিটের লেবার ইকোনমিস্ট ক্রিশ্চিয়ান ভিগেলান (পিএইচডি) বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশের গ্রিনফিল্ড এফডিআই কমেছে ৮৪ শতাংশ। ২০১৯ ও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের তুলনামূলক পর্যালোচনায় এ চিত্র দেখা গেছে। বলা যায়, গভীর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ইতস্তত প্রকাশ করছে।
প্রতিবেদনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএলও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিজিওনাল ডিরেক্টর জেনারেল এবং এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের রিজিওনাল ডিরেক্টর চিহোকো আসাদা মিয়াকাওয়ার বরাতে বলা হয়, কভিড-১৯ এ অঞ্চলের শ্রমবাজারগুলোয় বড় আঘাত হেনেছে। এ অঞ্চলের গুটিকয়েক সরকার যা সামাল দিতে প্রস্তুত ছিল। অনেক দেশে নিম্নস্তরের সামাজিক সুরক্ষার আওতা ও সীমিত প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায় উদ্যোক্তাদের কাজে লাগেনি এবং শ্রমিকদের নিজ পায়ে দাঁড়ানো থেকে পিছিয়ে দিয়েছে।