করোনা মহামারি সংকটের মধ্যেই মাত্র আট মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যদিয়ে ১৫ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
করোনার মধ্যেও প্রচুর রেমিট্যান্স ও বিদেশি ঋণ আসছে। রপ্তানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি রয়েছে। তবে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এভাবে রিজার্ভ বাড়ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শুরুর মাস গত মার্চ শেষে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে একে-একে রেকর্ড হয়ে এ পর্যায়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রির্জাভের এই অর্থ দিয়ে প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের মতো প্রবাসীদেরও অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বা আয় কমেছে। এর মধ্যেও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হুন্ডির চাহিদা একেবারে কমে যাওয়া। আবার সরকারের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে ভালো দাম মিলছে। এর বাইরে একটা শ্রেণি জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আবার বিমান চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় সঙ্গে ডলার আনার প্রবণতা কমেছে। এসব কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের বেশিরভাগই এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে। যদিও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির এ ধারা কতোদিন থাকবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।