সেকেন্ডারি মার্কেটে ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকলে আইপিওর শেয়ার পাবে আবেদনকৃত সকল বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া সিডিবিএল ও ব্রোকারেজ হাউজের সিস্টেম আপডেট করা, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য মডিউল তৈরিসহ চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ রোববার আইপিও শেয়ার বরাদ্দের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও কমিটির সভাপতি মনসুর রহমান।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সেকেন্ডারি মার্কেটে ন্যুনতম ২০০০০ টাকা বিনিয়োগ থাকলে আইপিওতে আবেদন করা যাবে মর্মে সুপারিশ করবে কমিটি। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীরা কত টাকার শেয়ার পাবেন, সেটা নির্ধারণ করবে কমিশন। লটারি ব্যবস্থা বাতিল করে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগকারীদের বিওতে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, ইলেকট্রনিক্স সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) হালনাগাদ করা হবে। সেক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজ ও সিডিবিএলে শেয়ারের লট পদ্ধতির পরিবর্তে নির্ধারিত আবেদন ফি অনুযায়ী তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। এবং সিডিবিএল ও ব্রোকারেজ হাউজ ছাড়াও ইএসএস সিস্টেমে মার্চেন্ট ব্যাংকের তথ্যও হালনাগাদ করা হবে।
এছাড়া আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে শেয়ার লট প্রথা বাতিল করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নির্ধারণ করা হবে। মোট আবেদনকারী অনুযায়ী শেয়ার বরাদ্দ দিয়ে বাকি টাকা বিও একাউন্টে ফেরত দেয়া হবে।
এবং সাবস্ক্রিপশন চালু হওয়ার পর থেকে লেনদেন চালু পর্যন্ত সময় কমিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে কাজ করবে কমিটি। বর্তমানে সাবস্ক্রিপশন চালু হওয়ার পরে লেনদেন চালু হতে ৪৫ দিন সময় লাগে। তবে সে সময় কমিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে লেনদেন চালু করার বিষয়ে কাজ করবে তারা। আইপিও শেয়ার বরাদ্দের বিষয়ে ইএসএস সিস্টেম হালনাগাদ হলে এ সময় কমে আসবে।
সভাপতিত্ব করেন কমিশনের পরিচালক মনসুর রহমান। সভায় ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।