পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাভার রিফ্রেক্টরিজের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরেও শুধুমাত্র স্বল্পমূলধনী হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার দর আকাশচুম্বি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে বলে ধারনা করে আর্থিক হিসাব তৈরী করেছে সাভার রিফ্রেক্টরিজ কর্তৃপক্ষ। তবে কোম্পানিটি ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে লোকসানে থাকায় এরইমধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ৫৪.৪০ শতাংশ কমে এসেছে। এছাড়া কারেন্ট রেশিও ০.৩৮:১ এর মতো দূর্বল অবস্থায় চলে এসেছে। যা কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ তৈরী করেছে।
সাভার রিফ্রেক্টরিজের ব্যবসা এমন ঝুকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও শনিবার (১২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২১৬ টাকায়। এর পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কম হওয়ায় শেয়ার সংখ্যাও কম। যাতে সহজেই শেয়ারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করা যায়। এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) টাকা বিতরন করতে হয়। কিন্তু সাভার রিফ্রেক্টরিজের ৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০৩ টাকার ফান্ড থাকলে বিতরন করছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।