দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য একটি ফান্ড গঠন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইতোমধ্যে ফান্ড গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফান্ডের নাম হতে পারে বিনিয়োগকারী সুরক্ষা ফান্ড (ইনভেস্টরর্স প্রটেকশন ফান্ড)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফান্ডের উৎস:
বিএসইসির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফান্ডের উৎস হবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিতরণ না হওয়া নগদ লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার, ব্রোকারেজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবের দাবিহীন টাকা। এর বাহিরে সরকারের কাছ থেকেও এই ফান্ডে টাকা আসতে পারে।
এদিকে ফান্ড গঠন করার উদ্দেশে গত ৫ নভেম্বর দেশের ৩২১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বরে দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ডিএসইর ২৪০টি ব্রোকারেজ হাউজ, সিএসইর ১৪২টি ব্রোকারেজ হাউজ এবং ৬৪টি মার্চেন্ট ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
ফান্ড পরিচালনা:
ফান্ড পরিচালনার জন্য দেশের সকল স্টেইকহোল্ডারদের কাছ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। কমিটি ফান্ড পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করবে। এর মনিটরিং করবে কমিশন।
আকার:
কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ফান্ডের আকার হতে পারে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। পরে এর আকার বাড়বে।
ফান্ডের ব্যবহার:
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ফান্ডটির বহুমুখী ব্যবহার করার চিন্তা করছে বিএসইসি। এর মধ্যে অন্যতম হলো এই ফান্ড দিয়ে ব্রোকারেজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নামে মাত্র সুদ দিয়ে ঋণ দিবে। একই সাথে ফান্ডটি মার্কেট ম্যাকারের ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একটি ফান্ড গঠন করতে যাচ্ছি। ফান্ডিটির প্রধান উৎস হবে কোম্পানিগুলো, ব্রোকারেজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের দাবীবিহীন অর্থ।
তিনি বলেন, এগুলো সংগ্রহ করার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফান্ডটির বহুমুখী ব্যবহারের জন্য কমিশন একটি নীতিমালা করছে। শিগগিরই বিষয়টি এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করবে বিএসইসি।