দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে আগামীকাল ১৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ডিএসই অফিসের নতুন সময়সূচী সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত৷ যেখানে পূর্বের সময়সূচী ছিল সকাল ৯:৩০ টা থেকে বিকাল ৫:৩০ টা পর্যন্ত৷
ডিএসইতে প্রি-ওপেনিং ও ওপেনিং সেশন এবং ক্লোজিং ও পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু হবার কারণে ডিএসই’র এই অফিস সময়সূচীর পরিবর্তন আনা হয়৷
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে প্রি-ওপেন সেশন, ওপেনিং সেশন, ক্লোজিং সেশন এবং পোষ্ট ক্লোজিং সেশন স্টেকহোল্ডারদের ইউএটি এবং বাজারের সচেতনতা সম্পন্ন করা সাপেক্ষে চালু করার জন্য অনুমোদন দেয়৷
এদিকে ডিএসই ২২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে শীর্ষ ২০ ট্রেকহোল্ডারদের নিয়ে ইতিমধ্যে ইউএটি সম্পন্ন করে৷ ০৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ডিএসই ট্রেকহোল্ডার প্রতিনিধি এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে৷
সবশেষে ডিএসইতে প্রি-ওপেন সেশন, ওপেনিং সেশন, ক্লোজিং সেশন এবং পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু উপলক্ষ্যে পুঁজিবাজারের সকল স্টেক হোল্ডারদের সফলভাবে ইউএটি (UAT) এবং সচেতনতা সম্পন্ন হওয়ার প্রেক্ষিতে আগামীকাল ১৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে প্রি-ওপেন সেশন, ওপেনিং সেশন, ক্লোজিং সেশন এবং পোস্ট ক্লোজিং সেশন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হতে যাচ্ছে৷
ডিএসইর প্রি-ওপেনিং ও ওপেনিং সেশন হবে সকাল ৯:৪৫ থেকে সকাল ১০টা৷ এ সেশনে বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার কেনা বা বেচার আদেশ দিতে পারবেন৷ এই সেশনে একটি আইডিয়াল ওপেনিং প্রাইস নির্ধারণ করা হবে৷
এছাড়া সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতা যেই প্রাইসে থাকবে সেটাই হবে ওপেনিং প্রাইস৷ নিয়মিত সময়ে যেয়ে এই ওপেনিং প্রাইসে লেনদেনটি সম্পন্ন হবে৷ পরিবর্তীতে স্বাভাবিক নিয়মে নিয়মিত সেশনটি চালু থাকবে৷
এদিকে, দুপুর আড়াইটায় স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ক্লোজিং ও পোস্ট ক্লোজিং সেশন৷ এর ব্যাপ্তি হবে ১০ মিনিট৷ এ সময়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে কোনো শেয়ার দর প্রস্তাব করতে পারবেন না৷ শুধু ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনা বা বেচার সুযোগ পাবেন৷ এ সেশন শেষ হবে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে৷