দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে সবচেয়ে বড় পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভালো মুনাফা এবং ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আস্থার তলানিতে রয়েছে। যাতে শেয়ারটি অবস্থান করছে অভিহিত মূল্যের নিচে।
তবে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ে দূর্বল এবং ২ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধন নিয়ে পুঁজিবাজারে আসার অপেক্ষায় রবি আজিয়াটা। লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা না থাকলেও রবির আগমনে বাজারের গভীরতা বাড়বে বলে একটি পক্ষ মনে করছে। তবে কেউ কেউ মনে করছে বাজারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬৩ কোম্পানির মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এই ব্যাংকটির ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ১.৪১ টাকা করে মোট ৪১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে ব্যাংকটির পর্ষদ ১০ শতাংশ (৫% নগদ ও ৫% বোনাস) লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এদিকে ব্যবসায় এই পরিস্থিতির পরেও ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর এখন অভিহিত মূল্যের নিচে। রবিবার (১৫ নভেম্বর) লেনদেন শেষে শেয়ারটি ৬.৮০ টাকায় দাড়িঁয়েছে। তাই মূলধন বেশি হলেই যে বাজারের জন্য ভালো তা বলাটা কঠিন।
তবে এই ন্যাশনাল ব্যাংককে অতিক্রম করতে আসছে ব্যবসায় দূরাবস্থার মধ্যে থাকা রবি আজিয়াটা। বর্তমানের ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বেড়ে দাড়াঁবে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকায়।
তাছাড়া পরিশোধিত মূলধনে রবি যতটা এগিয়ে, ব্যবসায় ততটাই পিছিয়ে। বিশাল মূলধন নিয়ে ব্যবসা করলেও রবির সর্বশেষ ২০১৯ সালে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা। এই পরিস্থিতিতে চাইলেও কোম্পানিটির লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই। কারন ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিতেও ১০ পয়সা ইপিএস দরকার।
বর্তমানে লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা না থাকলেও ভবিষ্যতে ব্যবসায় উন্নতি হলে, তা সম্ভব হতে পারে। তবে ব্যবসার দীর্ঘ ২৫ বছরের যাত্রায় শোচণীয় অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারা কোম্পানিটির জন্য তা সহজ হবে না।
এছাড়া রবির ১ বছর পরে গঠিত হয়েও গ্রামীণফোন এখন বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। আর রবি আজিয়াটা এখনো লোকসান থেকে মুনাফা করতে লড়াই করে যাচ্ছে। অথচ গ্রামীণফোনের থেকে রবির কয়েকগুণ বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে।