দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজী সানাউল হকের যোগ্যতা নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ৪জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের মধ্যে শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও মিনহাজ মান্নান ইমন।
তবে রকিবুর রহমান সানাউল হকের নেতৃত্বে সফলতা দেখতে পেয়েছিলেন। যে কারনে তাকে নিয়োগে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্নকে ভঙ্গ করে ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করেছেন কাজী সানাউল হক।
সানাউল হকের নিয়োগ নিয়ে শুরুতেই ডিএসইর পর্ষদ বিভক্ত হয়ে পড়ে। একদিকে থাকে ৩ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, অন্যদিকে রকিবুরের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র পরিচালকেরা। রকিবুরের কারনেই অধিকাংশ পরিচালকের সম্মতিতে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওইসময় ৩ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের মতামতকে পাত্তা দেওয়া হয় না। এখন সেই রকিবুরের পছন্দের কাজী সানাউল হক ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কাজী সানাউল হক ব্যক্তি হিসেবে ভালো হলেও ডিএসই পরিচালনার মতো দক্ষতা তার নেই। যে কারনে প্রায় বোর্ড মিটিংয়ে তাকে নিয়ে সমালোচনা করা হতো। এমনকি পর্ষদ সভায় কাজী সানাউল হককে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেছেন, আপনিতো পারছেন না, এখন কি করবেন? পর্ষদের এমন আচরনে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন সানাউল হক। যা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পদত্যাগ পত্রে গতানুগতিকভাবে ব্যক্তিগত কারন দেখানো হয়েছে।
কাজী সানাউল হকের কর্মকাণ্ডে ডিএসইর পর্ষদ সন্তুষ্ট ছিল না। যে কারনে বুধবার (২১ অক্টোবর) তার পদত্যাগের বিষয়ে কেউ আপত্তি তোলেননি। সবাই বলেছেন, স্বাস্থ্যে যদি না কুলায়, কি আর করা যাবে।
তিনি গত ৮ অক্টোবর ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। যা বুধবার (২১ অক্টোবর) ডিএসইর পর্ষদ সভায় গৃহিত হয়েছে।
তিনি এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে যোগদান করেন। তাকে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।।