আজ বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারে (স্পট মার্কেট ব্যতিত) সেটেলমেন্ট কার্যক্রম টি+৩-তে সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার আলোকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া বিএসইসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পরপর দুইবছর নগদ লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে এজিএম করতে ব্যর্থ হলে, ৬ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকলে, পরপর ২ বছর পরিচালন লোকসান ও ঋণাত্মক পরিচালন নগদ প্রবাহ এবং পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে সংরক্ষিত আয় বেশি ঋণাত্মক হওয়া কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। এছাড়া সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে।
‘জেড’ ক্যাটাগরি নিয়ে কমিশনের আরেক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই ক্যাটাগরির কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরনের ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর ও বন্ধকী দিতে পারবে না।
এছাড়া ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পর্ষদ পূণর্গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে কমিশন এক বা একাধিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। আর ‘জেড’ ক্যাটাগরির সকল কোম্পানি আগামি ৬ মাসের মধ্যে এজিএম বা ইজিএম আয়োজন করবে।
এদিকে বিদ্যমান বোর্ড পূনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও উদ্যোক্তাদেরকে পুঁজিবাজারে কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে থাকার সুযোগ থাকবে না বলে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে।