ব্যাংক খাতকে বলা হয় পুঁজিবাজারের সবচেয়ে শক্তিশালী খাত। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে লেনদেনে পিছিয়ে ছিল এই ব্যাংক খাত। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকার কারণে তলানিতে নেমে যায় এই খাতের লেনদেন। মোট লেনদেনে খাতটির অংশগ্রহণ নেমে আসে তিন শতাংশের কমে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা গেছে, সম্প্রতি বাজার ঘুরে দাঁড়ানোয় আবারও চালকের আসনে ফিরে গেছে এই খাত। প্রতিদিনই এ খাতের লেনদেন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গতকালও এর বিপরীত দেখা যায়নি।
গতকালের বাজার চিত্র পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, মোট লেনদেনে সবার ওপরে ছিল ব্যাংক খাত। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই খাতের শেয়ার চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি পুরোটা সময় জুড়েই এই খাতের শেয়ারে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়। যার জের ধরে দিন শেষে এই খাতের তালিকাভুক্ত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৭ শতাংশ।
এদিকে গতকাল ব্যাংক খাতের পর লেনদেনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান দেখা যায় বিমা খাতের। দীর্ঘদিন থেকে এই খাতের শেয়ারে নজর রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। গতকালও সেই ধারা বজায় ছিল। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখাতে পাওয়া যায় প্রায় ১৬ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেনে অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৪ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান ছিল ১০ শতাংশের বেশি।
এদিকে গতকালও পুঁজিবাজারে বড় উত্থানের পাশাপাশি সন্তোষজনক লেনদেন দেখা যায়। মূলত বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি হয়। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ১৫৬ পয়েন্ট। শতাংশের হিসাবে যা তিন শতাংশের বেশি। সাধারণ একদিন সূচক এক থেকে দুই শতাংশের বেশি বাড়লে সেই দিনের বাজারকে ভালো হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। সেই হিসেবে গতকালের বাজার খুব ভালো ছিল। গতকাল দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় ৪ হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে। এদিকে গতকাল লেনদেনেও সন্তোষজনক পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৩৫১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ৭১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায় ব্লক মার্কেটে। গতকাল এই মার্কেটে মোট ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।