পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লিংক অ্যাকাউন্টে দ্রুত হস্তান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ বিনিয়োগকারী পরিষদ। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সানাউল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আগামী এক মাসের মধ্যে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লিংক অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হবে বলে আশ্বাস দেন ডিএসইর এমডি মো. সানাউল হক।
রোববার (১৬ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (নিকুঞ্জ-২) সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। বিকালে সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী নাজমুল হাসান, আককাস আলী, মনজুর মরশেদ, তাহের হক, হাফিজুল ইসলাম, মিন্টু করিমসহ অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২২ জুন থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর পরিচালক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ব্রোকারেজ হাউজের ঢাকাস্থ পল্টনের হেড অফিসসহ শাখা অফিসগুলো বন্ধ করে দেয়। পরে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউজের সব কার্যক্রম ডিএসই এর পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্রোকারেজ হাউজের ডিপিতে থাকা শেয়ারগুলো ডিএসই নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেয় ডিএসই। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এর পলাতক এমডি এবং পরিচালককে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে ডিএসই এর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর ডিপিতে থাকা বিনিয়োগকারীদের অবশিষ্ট শেয়ারসহ ব্রোকারেজ হাউজের কাছে বিনিয়োগকারীদের মোট পাওনার পরিমাণ জানতে চেয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা নিজেদের শেয়ার ও টাকার পরিমাণ জানিয়ে এবং টাকা এবং শেয়ার ফেরত পাওয়ার জন্য ডিএসসিতে আবেদন পত্র জমা দেয়।
কিন্তু উল্লেখ্য যে, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ডিএসই এর অধীনস্ত সিডিবিএল থেকে এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের শেয়ারগুলো তাদের লিংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়নি। তাই ডিএসই এর অধীনস্ত সিডিবিএলে বিনিয়োগকারীদের আটকে থাকা অবশিষ্ট শেয়ারগুলো বিনিয়োগকারীদের লিংক বিও অ্যাকাউন্টে দ্রুত ট্রান্সফারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।