চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আট টাকা ৮০ পয়সা কমেছে বা প্রায় ৩৮০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস আট টাকা ৮০ পয়সা কমেছে। ২০২০ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০৬ টাকা ৫২ পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩১ মার্চে ছিল ২০৪ টাকা ২০ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩৪ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ২০ টাকা তিন পয়সা ছিল।
কভিড-১৯ মহামারির জন্য দেশব্যাপী লকডাউন থাকায় এপ্রিল ও মে মাসে কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি কমে যায় এজন্য এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় এবং শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ কমেছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা ৪২ টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৩৫৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৩৫৬ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ১১ হাজার ২৯৭টি শেয়ার মোট ৪৯৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর এক হাজার ৩০৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে এক হাজার ৩৮০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর এক হাজার ২০৮ টাকা থেকে এক হাজার ৬১৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিবিধ খাতের কোম্পানিটি ২৯৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ টাকা ২২ পয়সা এবং ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০৪ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে ৪৪ টাকা ১৩ পয়সা ও ১৭৬ টাকা ১৮ পয়সা।
২০১৯ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর ২০১৮ সালে দিয়েছিল ২০০ শতাংশ নগদ ও ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ২৫ দশমিক ৯৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৪৬ দশমিক ২০।