টানা তৃতীয় সপ্তাহ লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে ২শ’ ৮৩ পয়েন্ট।
বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরো বেড়েছে। প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইএক্সে যোগ হয় ৮১ পয়েন্ট, লেনদেন হয় ১১শ ২৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। সোমবার যোগ হয় ৮৮ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার সরকারি ছুটির পর বুধবার ডিএসইএক্সে যোগ হয় ১শ’ পয়েন্ট, লেনদেন হয় ১১শ’ ২০ কোটি টাকার শেয়ার। বৃহস্পতিবার আরো ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসইএক্স অবস্থান নেয় ৪ হাজার ৭শ’ ৩ পয়েন্টে। এক সপ্তাহে বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসই শরীয়াহ সূচকে ৭৭ আর বাছাই সূচকে যোগ হয়েছে ১শ’১৮ পয়েন্ট ।
সপ্তাহের ৪ কার্যদিবসে হাতবদল হয় ৪ হাজার ৫শ ৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। ৫৫ শতাংশ বেড়ে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ১১শ’ ২৬ কোটি টাকা।
গেল সপ্তাহে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো ছিলো- স্টাইলক্রাফ্ট, ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো, নর্দান জুট এবং নিটল ইন্সুরেন্স, রূপালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক। অন্যদিকে দর হারানো শীর্ষ ৫ প্রতিষ্ঠান ছিলো- সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ড, আর্গন ডেনিম, ইমাম বাটন, আইপিডিসি ফাইনান্স এবং পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক।
হাতবদল হওয়া বেশিরভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, এক সপ্তাহেই বাজার মূলধন বেড়েছে ২১ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা। ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২শ’ ৮২ টির, কমেছে ৫৯ টির, অপরিবর্তিত থাকে ১৮ টির দাম।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসির পর্ষদ সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-বাজারে মন্দ শেয়ার হিসেবে পরিচিত জেড বা জাঙ্ক শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি হবে ৩ দিনে। যা বর্তমানে ৯ দিন লাগে। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে ও এজিএম করতে ব্যর্থ হলে জেড ক্যাটেগরিতে যাবে পুজিবাজারে তালিকা ভূক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান। যা এখন একবছর করতে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানকে করা হয়। দুবছরের বেশি সময় ধরে জেড ক্যাটেগরিতে থাকে প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ পুনর্গঠনে ৪৫ দিন সময়সীমা বেধে দিয়েছে বিএসইসি। যেসব কোম্পানি ৪৫ দিনের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে ব্যর্থ হবে সেসব কোম্পানিতে বিশেষ নিরীক্ষক ও পর্যবেক্ষক বসাবে বিএসইসি।