1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সহজ নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে সহজ নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০
bangladesh-bank

বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতের অবকাঠামো ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্পে ব্যাংকের বিনিয়োগে নীতিমালা দিয়েছিল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্তিতে উৎসাহ দিতে পুঁজি সরবরাহে এ নীতিমালা করা হয়েছিল। ব্যাংকের পুঁজি সরবরাহ আরও সহজ করে গতকাল নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নীতিমালা সহজ করায় ব্যাংকগুলো উদ্যোক্তাদের আরও সহজভাবে পুঁজি দিতে পারবে। এতে কোম্পানির পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারেরও বিকাশ হতে সহায়ক হবে। কারণ এই বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের আওতায় নয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা সমজাতীয় কোনো তহবিলের মাধ্যমে সরকারি এবং পিপিপি’র আওতাধীন প্রকল্প বা প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কোম্পানি ব্যতীত বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রভৃতি প্রকল্পে বা প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে ব্যাংকগুলো কর্তৃক গৃহীতব্য বা এরই মধ্যে গৃহীত ইক্যুইটি এক্সপোজার বাজার তারল্য সৃষ্টি, বিনিয়োগের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এগুলো হচ্ছে, কোনো ব্যাংক কর্তৃক এরূপ ইক্যুইটি এক্সপোজার গ্রহণ করার আগে প্রথম সাবস্ক্রিপশনের তারিখ থেকে এক বছর সময়ের মধ্যে বর্ণিত কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে বিনিয়োগকারী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে অপরিবর্তনীয় সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এরই মধ্যে ইক্যুইটি এক্সপোজার করে থাকলে নির্দেশনা জারির ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সরাসরি তালিকাভুক্তি পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তি করতে হবে। শেয়ারপ্রতি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যে মূল্যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে, তার গড় মূল্যের কম ধার্য করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিশোধিত মূলধনের পাঁচ শতাংশের বেশি প্রথম বছরে তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

কোনো প্রকল্প বা প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিপরীতে আউটস্ট্যান্ডিং কনভার্টিবল বন্ড থাকলে এবং সংশ্লিষ্ট বন্ডের ইনডেন্টচার এ ভিন্নরূপ কিছু না থাকলে তালিকাভুক্তির মূল্যে কনভার্সন করার সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে ওই বন্ডের বিপরীতে থাকা সিনকিং ফান্ডের আনুপাতিক অংশ (অর্থাৎ শেয়ারে রূপান্তরিত অংশের বিপরীতে থাকা আনুপাতিক অংশ) ওই প্রকল্প বা প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কোম্পানি অবশিষ্ট বন্ডের (যদি থাকে) মেয়াদপূর্তির আগেই নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে।

কোনো প্রকল্প বা প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য অ-তালিকাভুক্ত থাকাকালে গঠিত কোনো বিশেষ তহবিল (সিনকিং ফান্ড বা অন্য যেকোনো নামে হোক না কেন) সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তার পর্ষদের অনুমোদনক্রমে শুধু নগদ লভ্যাংশ প্রদান বা তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে থাকা দায় পরিশোধ করার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। নীতিমালাটি জারির পরই কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ