টানা পাঁচ কার্যদিবস উর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে সিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
সূচকের পতন হলেও এদিন লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের প্রথম ঘণ্টার পর লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক।
লেনদেনের শেষে পর্যন্ত সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ ৪ পয়েন্ট কমে ৯৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেওয়া ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দিম কমেছে ১২৭টির। আর ১৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগে কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেপিসিএল’র ১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এমএল ডাইং।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯২টির।