1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজারে স্বস্তির ধারাবাহিকতা চান বিনিয়োগকারীরা
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪২ এএম

পুঁজিবাজারে স্বস্তির ধারাবাহিকতা চান বিনিয়োগকারীরা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০
up

মহামারি করোনার প্রকোপ চললেও আতঙ্ক দূরে ঠেলে ধিরে ধিরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিরবাজারে। ফলে দেখা মিলছে বড় উত্থানের। সেই সঙ্গে গতি বাড়ছে লেনদেনেও। এতে পুঁজিবাজারে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে স্বস্তির ধারাবাহিকতা অব্যাহত চান বিনিয়োগকারীরা।

করোনার প্রকোপ সামাল দিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলেও অফিস, দোকান, শপিংমল, রেস্তোরাঁ সব কিছুই খুলছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষেরও বাহিরে বের হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে ব্যাংক।

এরই অংশ হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন মাস পর বুধবার স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেই মূল্য সূচকের বড় উত্থানের দেখা মিলে। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনও। বুধবারের উত্থানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে বৃহস্পতিবারও (৯ জুলাই)। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন।

এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনের শেষ দিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৯৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে যে হারে লেনদেন হচ্ছিল তা খুবই হতাশাজনক। অবশ্য বুধবার থেকে বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চালুর পর দুই দিন তুলনামূলক ভালো লেনদেন হয়েছে। আশাকরি আস্তে আস্তে বাজারে গতি ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, করোনার প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই সব ধরনের অফিস খুলছে। কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে। যদিও আগের অবস্থা নেই এরপরও অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলছে। এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া অনেক ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম অনেক দিন ধরেই ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রম চললেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে আরও অনেক সময় লাগবে। এর মধ্যে অনেক ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করতে হবে। শেয়ারবাজার এখন যেমন বাড়ছে, হুট করে পতনও হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের এখন ধৈর্য সহকারে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সূচকের বড় উত্থান হলেও এদিনও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশ্য ডিএসইতে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে তার থেকে দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এর মাধ্যমে পর পর দুই দিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ল। শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার দিনে দরপতন হয়েছে ৪৫টির। আর ২০১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৩১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ২৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ওরিয়ন ফার্মা, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, ফার কেমিক্যাল, বেক্সিমকো এবং ইউনাইটেড পাওয়ার।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৭ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৯৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ