পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালকের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ ২ শতাংশের কম।অথচ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)আইন অনুসারে,পরিচালক পদের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা আছে। কোনো উদ্যোক্তার কাছে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার না থাকলে তিনি পরিচালক পদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধসের পর ২০১১ সালে এই নির্দেশনা জারি করেছিল বিএসইসি। কিন্তু এত বছরেও খেলাপি পরিচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিএসইসি।
তবে অবশেষে গত সপ্তাহে এসব পরিচালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। ন্যুনতম শেয়ার ধারণের জন্য তাদেরকে ৪৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার আলোচিত পরিচালকদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।তাতে বলা হয়েছে,বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তারা শর্ত পূরণ করতে না পারলে পরিচালক পদ থেকে অপসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে হয় পরিচালকদেরকে শেয়ার কিনে বা অন্য কোনোভাবে ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে।নইলে তাদেরকে নিজ নিজ পদ ছাড়তে হবে।
জানা গেছে, খেলাপি পরিচালকদের মধ্যে বীমা খাতের কোম্পানির পরিচালকের সংখ্যা বেশি।
এদিকে বিএসইসির ওই নির্দেশনার পর রোববার বাজারে বীমা খাতে হঠাৎ শেয়ারের চাহিদা দেখা দেয়। পরিচালকরা শেয়ার কেনা শুরু করলে শেয়ারের চাহিদা ও দাম বাড়তে পারে এমন আশায় অনেক বিনিয়োগকারী এদিন বীমা কোম্পানির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যে ২২ কোম্পানির পরিচালককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগই বিমা খাতের কোম্পানি, যার সংখ্যা ১৪টি। এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে- এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ও প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স।
অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- দুলামিয়া কটন, এক্সিম ব্যাংক, ইমাম বাটন, ইনটেক লিমিটেড, কে অ্যান্ড কিউ, ইউনাইটেড এয়ার, ফু-ওয়াং সিরামিক ও ওয়াটা কেমিক্যালস।