আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক যেকোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়লগ-১৯’ এর তৃতীয় ও সমাপনী দিনের সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক বিশ্বের সবচেয়ে ভাইব্রান্ট অঞ্চল। বিশ্বের ৬৫ শতাংশ মানুষ এ অঞ্চলে বাস করে। এ অঞ্চলের বাণিজ্য অতি সম্প্রতি ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বিশ্বের অর্ধেক বাণিজ্য এ অঞ্চলেই হয়। আমাদের প্রয়োজন স্থায়ী অর্থনীতি।
ড. মোমেন বলেন, বর্তমান বিশ্বে একা কেউ চলতে পারবে না। একে অন্যকে সম্মানজনক ও সাম্যের ভিত্তিতে সহযোগিতার মনোভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সুস্থ প্রতিযোগিতা চাই কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক শত্রুতা চাই না।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলে সংকট দেখা দিলে তার প্রভাব সব দেশে পড়ে। এ ধরনের ডায়লগ একে অন্যকে সম্মান করতে সহযোগিতা করে। রোহিঙ্গা সংকট আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সদস্য নাহিম রাজ্জাক সভাটি সঞ্চালন করেন। সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, শিল্প বিপ্লবের পরে উন্নয়নের ভারকেন্দ্র পশ্চিমে চলে যায়। সম্প্রতি আবারও ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল তার পুরোনো চেহারা ফিরে পেতে শুরু করেছে।
প্রতিমন্ত্রী মতে, চীন ও ভারতের নেতারা প্রতিবছর আলোচনায় বসছে। এটি এ অঞ্চলের শান্তির জন্য খুবই উপযোগী। এশিয়ার সম্ভাবনা অপার। যারা বড় অর্থনীতি তাদের উচিত বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করা।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় জোশি বলেন, বিশ্ব সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো বিনিয়োগ দরকার। এখনই এ নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ।
শেয়ারবার্তা / হামিদ