চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাডভেন্ট ফার্মা, জাহিন স্পিনিং, এস্কোয়ার নিট এবং আজিজ পাইপের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
কোম্পানি চারটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অ্যাডভেন্ট ফার্মা
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ২৯ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমায় নয় মাসের হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬১ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় কমেছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৯ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা, যা ২০১৮ সালের সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়ে ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা।
জাহিন স্পিনিং
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ১০ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা থাকলেও নয় মাসের হিসাবে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৬ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৫৬ পয়সা।
মুনাফার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় কমেছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা, যা ২০১৮ সালের সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়ে ছিল ৩৫ পয়সা।
এস্কোয়ার নিট
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ২৪ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফা কমায় নয় মাসের হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৩ টাকা ৪ পয়সা।
মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ৫০ টাকা ১৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা, যা ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়ে ছিল ৪ টাকা ১৭ পয়সা।
আজিজ পাইপ
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ২৯ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফা কমায় নয় মাসের হিসাবেও কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২৬ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৬৩ পয়সা।
মুনাফায় থাকলেও কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৭ টাকা ১৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের জুন শেষে ছিল ঋণাত্মক ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৫৫ পয়সা, যা ২০১৮ সালের সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়ে ছিল ১০ টাকা ১৫ পয়সা