বর্তমান যুগের তরুণ প্রজন্মের কাছে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা। গোটা বিশ্বেই ডিপ্রেশনকে এক ভয়াবহ ব্যাধি বলে মনে করা হয়।
কখনও কাজের চাপে, কখনও অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার ভয়ে জীবনে প্রবেশ করে অবসাদ। মন খারাপ, স্ট্রেস, কাজের চাপ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। চাইলেও এসব ছেড়ে থেকে পালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। কেউ বেড়াতে গিয়ে, কেউ ছবি তুলে, কেউ বা গান শুনে এর মধ্যেই ভালো থাকা চেষ্টা করেন। আর এই ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলোকে নিয়ে জীবনের কঠিন সময়টা এড়িয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা তত সরল নয়। মন খারাপের অন্ধকারে তারা ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকেন। কাছের মানুষের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে পারেন না তাদের এই বিষণ্নতার অনুভূতিগুলো।
আমাদের চেনা পরিসরেও এই ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। তদের মধ্যে এই পাঁচটি লক্ষণ দেখা গেলে বোঝা যাবে যে তারা ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছেন। আসুন জেনে নিই বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলো কী কী-
সারাক্ষণ নিরাশ লাগবে: যে কোন পরিস্থিতিতে আগে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা তার মাথায় আসবে। অবসাদগ্রস্ত হওয়ায় তার নিজেকে অসহায় লাগবে। কোন কাজই তার করতে ইচ্ছে হবে না।
আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না: কান্না, রাগ, বিরক্তি – কোনটার উপরই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না সে। মুড সুইং হতে থাকবে। খেলাধুলা, গান শোনা, বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার নাম শুনলেই ক্লান্তি আসবে। উৎসাহ পাবে না কিছুতেই। কোন বিনোদনই তাকে আর আকর্ষণ করবে না।
ঘুমের সমস্যা হবে: ডিপ্রেশন প্রথমেই আপনার এনার্জি নষ্ট করে দেবে। ভালো লাগার কাজগুলো আর উপভোগ করবেন না এবং সারাদিন ক্লান্তিতে ভুগবেন। অথচ ঘুম আসবে না।
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া: পরিবার-পরিজন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। একসময় যাদের পছন্দ করত তাদের থেকেও সরে আসবে। সামাজিক যেকোন অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে বিরত রাখবে সে। নিজের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মাবে। মনে হবে সে কোন কাজেরই নয়।
আত্মহত্যার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে: নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। কিংবা দেখা গেল গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলোতে স্বাক্ষর করে রাখছে।
এই সমস্ত লক্ষণ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হোন। পাশে থাকুন প্রিয় মানুষটির। হাত ছাড়বেন না। তার দুঃখবোধকে উগড়ে দিতে সাহায্য করুন। জড়িয়ে ধরুন, ভালোবাসুন।