করোনা আতঙ্কে দীর্ঘ বিরতির পর গত দুই সপ্তাহ ধরে লেনদেন শুরু করেছে পুঁজিবাজারে। এই সময়ে থেমে থেমে সূচকের সামান্য উত্থান হলেও লেনদেন নেমেছে তলানিতে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৮.৮০ শতাংশ।
সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে সবগুলো মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। দর কমেছে ৬ শতাংশ শেয়ারের। অন্যদিকে দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮৯টি কোম্পানির।
এ সময়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টির দাম কমেছে। বেড়েছে ৩৭টির।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ৬৯১ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।
ডিএসইর সাপ্তাহিক পর্যালোচনা করেএ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৭৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ১৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেশি।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই ৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৭৮ শতাংশ বা ১ হাজার ৩৩১ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়েছে। আর শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। সার্বিক সূচক সিএসপিআই বেড়েছে দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৮১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৮টির।