1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
১১ বছর পর সোনালী পেপারের চমক
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৩ এএম

১১ বছর পর সোনালী পেপারের চমক

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ জুন, ২০২০
sonali-paper

পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের প্রায় ১১ বছর পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে পুনরায় তালিকাভুক্ত হচ্ছে। কোাম্পানিটি দীর্ঘদিন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে অবস্থান করছে।

সম্প্রতি ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। এবং কোম্পানিটিকে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সিএসই প্রস্তুতি শেষ করেছে। তবে কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতির কারণে সিএসই কোন পর্ষদ সভা না করতে পারায় অনুমোদন দেয়া হয়নি।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হলেও, লেনদেন চালুর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লেনদেনের তারিখ ধার্য করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বাজারের মূল মার্কেটে ফিরতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে সোনালী পেপার। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

উৎপাদন বন্ধ থাকা ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করাসহ পাঁচ কারণ দেখিয়ে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর সোনালী পেপারকে মূল মার্কেটের তালিকাচ্যুত করে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। তালিকাচ্যুতির কারণগুলোর মধ্যে অন্য তিন কারণ হলো, ধারাবাহিক লোকসান, শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেওয়া এবং কাগজের শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করা।

মূল মার্কেটে ফিরতে যেকোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একইসঙ্গে ধারাবাহিক ৩ বছর মুনাফায় থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে হয়। তবে, সোনালী পেপারকে এই দুটি শর্ত থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি। তালিকাচ্যুতির সময় কোম্পানির শেয়ারের যে দর ছিল, এখন মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিন থেকে সেই দরে কেনাবেচার সুযোগ দিয়েছে বিএসইসি। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সোনালী পেপারের শেয়ার ওটিসিতে সর্বশেষ ২৭৩ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসই’র এক কর্মকর্তা বলেন, পরিচালনা পর্ষদ সভায় কোম্পানিটিকে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে লেনদেন চালুর তারিখ নির্ধারণের কাজ চলছে।

সিএসইর একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করে জানান, ডিএসই’র মতো পুনঃতালিকাভুক্ত করতে সিএসইতেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোনালী পেপার ১৯৭৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৯ পয়সা। আর ২০১৯-২০ হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। কোম্পানিটির সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৬ টাকা ৯০ পয়সা।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ