করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাস সীমিত পরিসরে সেবা দেওয়ার পর রোববার থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক লেনদেন সময়ে ফিরছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে জানানো হয়, রোববার থেকে দেশের ব্যাংকগুলোতে আগের মতই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হবে।
তবে করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা প্রশাসন যেসব এলাকাকে ‘মাঝারি বা উচ্চ ঝুঁকির এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেসব জায়গায় ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে শেষ হচ্ছে । এই প্রেক্ষিতে ৩১ মে থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর অফিস ও লেনদেনের সাধারণ সময়সূচি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।
তবে সবার সুরক্ষার স্বার্থে ব্যাংকগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরিভাবে মেনে চলতে হবে। অফিসে বসার ব্যবস্থা করতে হবে দূরত্ব রেখে। ঝুঁকিতে থাকা, অসুস্থ বা সন্তানসম্ভবা গ্রাহক বা ব্যাংককর্মীদের ব্যাংকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যতদিন সীমিত আকারে গণপরিবহন চলবে, ততদিন কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘অফ-সাইট সুপারভিশন’ বিভাগকে জানাতে হবে।
করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব ধরনের অফিস-আদালত এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে ছুটির মধ্যেও জরুরি সেবাগুলো চালু রাখার অংশ হিসেবে সীমিত আকারে ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখতে বলা হয়।
প্রথম দফায় সকাল ১০টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় ঠিক করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন ব্যাংক খোলা রাখা হচ্ছিল বেলা দেড়টা পর্যন্ত।
এরপর কয়েক দফা কমিয়ে বাড়িয়ে গত ১০ মে থেকে লেনদেন চলছি সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
শেয়ারবার্তা / মিলন