দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের। এবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির কারণে বাজার উন্নয়ন তো ব্যাহত হচ্ছেই, অনেক ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরাও সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ছেন। আজ ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবারও ডিএসইর দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালির কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে অসংখ্য বিনিয়োগকারীকে।
আজ তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক তথ্য বা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে চরম দায়িত্বহীনতার ঘটনা ঘটেছে ডিএসইতে। কোম্পানিটি সর্বশেষ (জুলাই’১৯-সেপ্টেম্বর’১৯) প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৯৯ পয়সা লোকসান দিয়েছে। কিন্তু ডিএসইর ওয়ার্কস্টেশন ও ওয়েবসাইটে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ১৯ পয়সা মুনাফা দেখানো হয়। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোনের প্রেক্ষিতে সেটি সংশোধন করে ডিএসই। কিন্তু ততক্ষণে বিপুল সংখ্যক শেয়ার লেনদেন হয়ে যায়।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে লোকসান দেওয়া কোম্পানিটির মুনাফায় ফেরার খবরে এর শেয়ারের দাম বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা আয় এর তথ্যের আলোকে অনেক বিনিয়োগকারী বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ২০ টাকার মতো দাঁড়াতে পারে বলে মনে করে বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেন। এর প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে তরতরিয়ে। গতকাল সোমবার শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য ছিল ২২৯ টাকা ২০ পয়সা। আজ এক পর্যায়ে তা ২৭০ টাকায় উঠে যায়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। পরে ডিএসই তাদের ভুল সংশোধন করলে ফের শেয়ারটির দাম কমতে থাকে। বেলা সাড়ে ১২টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ে ২৪৫ টাকায় নেমে আসে।
সকালে ডিএসইতে এসিআইয়ের ৫ টাকা ইপিএস এর খবর দেখে অসংখ্য বিনিয়োগকারী অর্থসূচকে ফোন করেন। অর্থসূচক সোমবার রাতে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানিয়েছিল কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৯৯ পয়সা লোকসান দিয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের একাংশ ফোনে জানতে চান, কোন তথ্যটি ঠিক। আবার কেউ কেউ ডিএসইর এই ভুল তথ্য পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। অনেকেই বিষয়টিকে শুধু ভুল হিসেবে দেখতে নারাজ। তাদের কেউ কেউ মনে করেন, এটি বড় ধরনের গাফিলতি। আবার কারো কারো অভিযোগ, ভুল তথ্যের বিষয়টি ইচ্ছাকৃতও হয়ে থাকতে পারে।
শেয়ারবার্তা/ এস আই