1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে ট্রেক বিধিমালা প্রণয়নে
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে ট্রেক বিধিমালা প্রণয়নে

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০
BSEC-DSE-CSE

ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) বিধিমালার বিষয়ে জনমত যাছাইয়ের জন্য নতুন করে সময়সীমা নির্ধারন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে বর্তমান কমিশনের সময়ে ট্রেক বিধিমালা প্রণয়নে গেজেট প্রকাশ অসম্ভব হয়ে পড়ল। বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিএসইসির ৭২৫ তম নিয়মিত কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকার ঘোষিত ছুটির কারনে ট্রেক বিধিমালা, ২০২০ এর খসড়া গেজেটে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া জনমত জরীপের সময় পার হয়ে গেছে। তাই অফিস খোলার পরে জনমত জরীপের নতুন সময়সীমা নির্ধারন করা হবে।

কমিশনের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ট্রেক বিধিমালা প্রণয়নে নতুন সময়সীমা নির্ধারনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বিষয়টি পরবর্তীতে নেতৃত্বে আসা কমিশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুলের হোসেন আগামি ১৪ মে অবসরে যাবেন। যার আগে সময়ের স্বল্পতার কারনে জনমত জরীপে নতুন সময় সীমা নির্ধারন করে গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আর বর্তমান কমিশনের বিদায় বেলায় এমনটিই দাবি ছিল ডিএসইর ৩ শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের।

এর আগে গত ২৫ মার্চ জনমত যাছাইয়ের জন্য মতামত চেয়ে ট্রেক বিধিমালার খসড়া প্রকাশ করে কমিশন। এতে ১ লাখ টাকা আবেদন ফি এবং ৫ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি নির্ধারন করা হয়। এছাড়া ৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন ও ২ কোটি টাকা জামানত থাকার কথা বলা হয়। খসড়ায় পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সম্মতি জানিয়েছিল ডিএসই। তবে ৩ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের এ বিষয়ে আপত্তি থাকলেও তা কমিশনকে অবহিত করা হয়নি। যারা খসড়া প্রকাশের পরে ফি নিয়ে আপত্তি তোলেন। এ নিয়ে কেউ কেউ বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সঙ্গে আলাপ করেন এবং এই মুহূর্তে বিধিমালাটি প্রণয়ন না করার দাবি করেন। এই দাবির আলোকেই কমিশন ট্রেক বিধিমালা প্রণয়ন পরবর্তী বা নতুন কমিশনের হাতে দেওয়ার জন্য আজকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন সবসময় শেয়ারবাজারের স্বার্থে কাজ করেছে। এই কমিশনই আমাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ট্রেক বিধিমালা প্রণয়নের বিষয়টি থেকে সরে আসল। এজন্য আমার পক্ষ থেকে কমিশনকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, গত ৯ বছরে খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন শ্রম ও মেধা দিয়ে অনেক আইনকানুন প্রণয়ন করেছে। এছাড়া বাজারের স্বার্থে আমরা যত দাবি করেছি, তা বাস্তবায়ন করেছেন। কখনো মুখ ফিরিয়ে নেননি।

বিএসইসির ট্রেক বিধিমালা নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছেন ডিএসইর আরেক পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, ট্রেক ইস্যু বিধিমালা প্রণয়ন একটি সংবেদনশীল বিষয়। চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া যৌক্তিক। এটা সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে করা উচিত। আর কমিশনও আজকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চলমান মহামারির মধ্যে ট্রেক বিধিমালা প্রণয়ন চূড়ান্ত করা থেকে প্রকৃতপক্ষে সরে এসে সেই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে ধন্যবাদ।

ডিএসইর পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন যে শেয়ারবাজারবান্ধব, তা ট্রেক বিধিমালা প্রণয়ন নিয়ে আজকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আরেক দফায় প্রমাণিত হল। কমিশন আমাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে আজকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কমিশনের আজকের সিদ্ধান্তের ফলে পিছিয়ে গেলো ট্রেক বিধিমালা চূড়ান্ত করা। যা আগামিতে নতুন চেয়ারম্যানকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য বর্তমান কমিশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কমিশন সবসময় বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে শেয়ারবাজারের সঙ্গে যুক্ত এমন সবার কথা চিন্তা করেছে। এছাড়া শেয়ারবাজারের স্বার্থে যেকোন বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ১৬ এর ৫ ধারায় বলা হয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হইতে ৫ বছর অতিক্রান্ত হবার পরে স্টক এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদনকারীর অনুকূলে ট্রেক ইস্যু করা যাইবে। কিন্তু ডিএসই ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার পরে প্রায় সাড়ে ৬ বছর পার হয়ে গেলেও স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ট্রেক ইস্যু করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সম্প্রতি বিএসইসি ডিএসইর পর্ষদের সম্মতি নিয়ে ট্রেক ইস্যুর লক্ষ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়া বিধিমালা প্রকাশ করে। এতে ডিএসইর পর্ষদের ৩ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের আপত্তি থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সম্মতি দিয়েছিল।

ডিএসইর ওই সম্মতি প্রদানের কারনে গত ১২ এপ্রিল স্টক এক্সচেঞ্জটিকে লিগ্যাল নোটিশ দেয় ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। নোটিশে ট্রেক বিধিমালা নিয়ে ১২ এপ্রিলের পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে কমিশনে আপত্তি বা প্রতিবাদ জানিয়ে নোট দিতে বলা হয়। অন্যথায় ইজিএমের মাধ্যমে পুরো পর্ষদকে অপসারন করার হূমকি দেয়।

শেয়ারবার্তা/সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ