পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহূজাতিক হাইডেলবার্গ সিমেন্ট দীর্ঘদিন ধরে ভালো ব্যবসা এবং লভ্যাংশ প্রদান করে আসছিল। তবে ২০১৬ সালের পর থেকে কোম্পানিটি ধারাবাহিক পতনে রয়েছে। আর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ব্যবসায় লোকসানে নেমেছে। একইসঙ্গে প্রতিবছর বড় লভ্যাংশ প্রদান করা কোম্পানিটি থেকে এবছর শেয়ারহোল্ডারদের খালি হাতে ফিরতে হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও কোম্পানির আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি ২৬.৬৯ টাকা মুনাফা হয়েছিল। যা কমে ২০১৭ সালে ১৪.২১ টাকা ও ২০১৮ সালে ১৪.৩৩ টাকা হয়। আর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩.৩০ টাকা।
মুনাফার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিটির লভ্যাংশেও ধারাবাহিকভাবে পতন হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩০০ শতাংশ লভ্যাংশ ২০১৯ সালে নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। এর আগে ২০১৭ সালে ১৫০ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুনাফার থেকে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অর্থাৎ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুনাফার পাশাপাশি রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দেয়। তবে শেয়ারবাজারের চরম সংকটকালীন সময়েই কোম্পানিটি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ২০১৯ সালের জন্য রিজার্ভ ব্যবহার করবে না। যাতে এ বছর কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্তি হবে শূন্য।
কোম্পানিটির পর্ষদ ২০১৪ সালে শেয়ারপ্রতি ২০.৮৮ টাকা মুনাফার বিপরীতে ৩৮ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদান করে। অর্থাৎ মুনাফার থেকে প্রতিটি শেয়ারে ১৭.১২ টাকা বেশি লভ্যাংশ দেয়। যা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের শেয়ারপ্রতি ২৪.৮১ টাকা মুনাফার বিপরীতে ৩০ টাকা, ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি ২৬.৬৯ টাকা মুনাফার বিপরীতে ৩০ টাকা ও ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ১৪.২১ টাকা মুনাফার বিপরীতে ১৫ টাকা লভ্যাংশ দেয়। তবে ২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি ১৪.৩৩ টাকা মুনাফার বিপরীতে ৭.৫০ টাকা লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ ওই বছরের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ৬.৮৩ টাকা রিজার্ভে সংরক্ষন করা হয়।
হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভালো মুনাফা হয়। এরপর থেকেই কোম্পানিটি লোকসান গুণতে শুরু করে। এ কোম্পানিটির ওই বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছিল ৩.৪২ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ০.৭২ টাকা। আর তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২.৫৩ টাকা ও চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ৩.৪৭ টাকা লোকসান হয়।
এদিকে আশার কথা হচ্ছে কোম্পানিটি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফায় ফিরেছে। ওইসময় শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭৭ টাকা।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল