১০ জন মুসল্লি ও ২ জন হাফেজসহ ১২ জনের অংশগ্রহনে মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রনালয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নামে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবেনা। ইতোপুর্বে ধর্ম মন্ত্রণালয় জারিকৃত মসজিদে জু’মা ও জামাত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসুল্লী ও ২ জন হাফেজসহ মোট ১২ জনের অংশগ্রহণে রমজান মাসে মসজিদ সমুহে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকবে।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিস্তারিত নির্দেশনাসহ আজ শুক্রবার একটি সার্কুলার জারি করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, রমজানে সাধারণ মুসল্লিদের জন্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে মসজিদসমুহ খুলে দিয়ে তারাবির নামাজসহ অন্যান্য নামাড় পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আল্লামা শফিসহ শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে আহবান জানানোর জন্য বুধবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আব্দুল্লাহ তার বাসভবনে আলেমদের নিয়ে বৈঠক করেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফোনে সেই বৈঠকে অংশ নেন। প্রেক্ষিতে গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে পরিবর্তিত এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রনালয়ের এক সার্কুলারে করোনা সংক্রমন রোধে সাধারণ মানুষকে ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশনা দেয়। মসজিদে শুধুমাত্র ইমাম-খতিব, মুয়াজ্জিন ও খালেদসহ সর্বোচ্চ ১০ জনের অংশগ্রহনে জুমা এবং ৫ জন নিয়ে ওয়াক্তের জামাত করা যাবে নিদের্শনা জারি করে।
শেয়ারবার্তা / মিলন