পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, অর্থনীতির অন্যতম খাত পুঁজিবাজারও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকটে পড়েছে। এতে বিপুল ক্ষতির শিকার হবে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সবাই। দীর্ঘ সময় পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার দরকার নেই। সীমিত হলেও বাজার চালু করা উচিত। বন্ধ থাকলে ক্ষতি আরও বেশি হবে।
তবে এই ক্ষতি পোষাতে পুঁজিবাজারকেও প্রণোদনার মধ্যে আনা উচিত। পুঁজিবাজার সরাসরি প্রণোদনা দেওয়ার দরকার নেই। প্রক্রিয়াগত প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ, কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো, কনজামশন ট্যাক্স কমানো উচিত।
আবু আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই সংকট মুহূর্ত পার করছি আমরা। কিন্তু আতঙ্ক বেশি ছড়াচ্ছে। এত আতঙ্ক ছড়ানো অনুচিত। ব্যাংক যেহেতু সীমিত আকারে খোলা আছে। পুঁজিবাজারও সীমিতভাবে খোলা রাখা উচিত। শুধু ফিলিপাইন স্টক মার্কেট বন্ধ রেখেছে। বাকি সব দেশেই এটা খোলা। এখন স্টক মার্কেট তো হাউসে গিয়ে লেনদেন করতে হয় না। বেশি দিন বন্ধ রাখলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
তিনি বলেন, সব দেশে মুদ্রানীতির মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেয়। আমাদের এখানে সেটা খুব কম দেখা যায়। এখন যে পরিস্থিতি তাতে কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে বাজারে বড় সংকট হবে। দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দিতে হবে।
বহুজাতিক কোম্পানি ধরে রাখতে হলে এটা করতে হবে। ইতিমধ্যে রবি থেকে জাপানি বিনিয়োগকারী চলে গেছে। এটা খুবই নেতিবাচক ঘটনা। আবু আহমেদ বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স কমালে কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ট সক্ষমতা বাড়বে। এতে উপকৃত হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
তাই বিশ্বের কোথাও কর্পোরেট ট্যাক্স তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ১৫ শতাংশের বেশি নেই। বর্তমান সংকট মুহূর্তে ফিসক্যাল পলিসিতে পুঁজিবাজারকে প্রণোদনা দিতে হবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস