পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালের ব্যবসায় নগদ লভ্যাংশে ঝুঁকেছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৬ ব্যাংকেরই পরিচালনা পর্ষদ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে। যে ব্যাংকগুলো থেকে ৬৬১ কোটি টাকারও বেশি নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ব্যাংকগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, পুঁজিবাজারের চলমান মন্দাবস্থার অন্যতম কারন তারল্য সংকট। এর উপরে এসে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। তবে এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ ঘোষনার খবর পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। যা পুঁজিবাজারে সাপোর্ট দেবে বলে মনে করেন তারা।
দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ব্যবসা নিয়ে ৬ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে সবগুলো ব্যাংকের পর্ষদই নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে। এই ৬ ব্যাংক থেকে ৬৬১ কোটি ৩২ লাখ টাকার লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়েছে। যা ব্যাংকগুলোর বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে প্রদান করা হবে।
এদিকে ২০১৯ সালের ব্যবসায় নগদের পাশাপাশি ৩ ব্যাংকের পর্ষদ বোনাস শেয়ারও ঘোষণা করেছে।
ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, আইনের মাধ্যমে সবতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে বাধ্য করা হচ্ছে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার জন্য। ইতিমধ্যে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ ও বোনাস ঘোষনা করেছে৷ আশা করি অন্যান্য ভালো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এইমুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করবে৷
ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংকের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ২০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৩০ শতাংশ হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়া ১০ শতাংশ হিসেবে ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১১ শতংশ হিসেবে ১০৩ কোটি ৯ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৫ শতাংশ হিসেবে ৪৭ কোট ৯০ লাখ টাকার এবং উত্তরা ব্যাংক ১০ শতাংশ হিসেবে ৪০ কোটি ৮১ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেব। এছাড়াও নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৫ শতাংশ বোনাস, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৫ শতাংশ বোনাস এবং উত্তরা ব্যাংক ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল