পুঁজিবাজারে ২০১৯ সালের মাঝ ফেব্রুয়ারি থেকে পতন শুরু হয়েছে। যা পুরো বছর জুড়েই অব্যাহত ছিল। তবে বাজারকে স্বাভাবিক গতিতে ফেরাতে ডিএসই, সিএসই, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এগিয়ে এসেছেন। সবার সহযোগিতায় বাজার স্থিতিশীলতার দিকে ফিরতে শুরু করে। তবে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় পুঁজিবাজার আবার পতনে পতিত হয়। যার কারণে মার্চে উভয় পুঁজিবাজারের সব সূচক এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। মার্চে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ফেব্রুয়ারি থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, মার্চ মাসে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৫ কোটি ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৪ টাকার। আর ফেব্রুয়ারি মাসে লেনদেন হয়েছিল ১২ হাজার ৪২৭ কোটি ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৭ টাকা। অর্থাৎ মার্চ মাসে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৫ হাজার ৭৮২ কোটি ০৮ লাখ ৩০ হাজার ২০৩ টাকা বা ৪৬.৫২ শতংশ কমেছে।
মার্চ মাসে ডিএসইতে ১৮ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে গড়ে প্রতি কার্যদিবস ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৯ কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ টাকা করে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা করে। ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২০ কার্যদিবস। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৫২ কোটি ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫১ টাকা বা ৪০.৫৮ শতাংশ কম হয়েছে।
মার্চ মাসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭২ পয়েন্ট বা ১০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবস ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২৪ পয়েন্ট বা ১১.৮৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬১ পয়েন্ট বা ১০.৭৯ শতাংশ কমে মার্চের শেষ কার্যদিবস দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯২১ পয়েন্ট ও ১ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকায়। আর মার্চ মাসের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ডিএসই থেকে বাজার মূলধন ৩০ হাজার ৭৪৭ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা ৮.৯৬ শতাংশ কমেছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ হাজার ১৯১ পয়েন্ট বা ১৬.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। ফেব্রুয়ারির শেষ কার্যদিবস সিএএসপিআই ছিল ১৩ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১ হাজার ৩৩৭ পয়েন্ট বা ১৬.৩৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১ হাজার ৯৩৭ পয়েন্ট বা ১৬.২৬ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৫০ পয়েন্ট বা ১৫.৫৪ শতাংশ এবং সিএসআই ১৫৯ পয়েন্ট বা ১৭.৯০ শতাংশ কমে মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে, ৯ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে, ৮১৫ পয়েন্টে এবং ৭২৯ পয়েন্টে।
সিএসইতে বাজার মূলধন ২৯ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ১০.৭৮ শতাংশ কমে মার্চ মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবস সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ১১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল