1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
মাত্র ৬ লাখ টাকায় ব্রোকারেজ হাউজের মালিক!
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম

মাত্র ৬ লাখ টাকায় ব্রোকারেজ হাউজের মালিক!

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

মাত্র ৬ লাখ টাকায় ব্রোকারেজ হাউজের মালিক হওয়া যাবে–এমন বিধান রেখে ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০’ খসড়া তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা খসড়া বিধিমালাটি চুড়ান্ত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে বন্ধের কারণে জনমত যাচাইয়ের সময়সীমা বাড়ানো হবে।

মাত্র ৬ লাখ টাকা দিয়ে ব্রোকারেজ হাউজের মালিক হওয়ার সুযোগ রাখায় বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্রোকারেজ হাউজের বর্তমান মালিকরা। তারা বলছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সর্বশেষ ১২টি মেম্বারশিপ বিক্রি করেছে ৩২ কোটি ২ লাখ টাকা করে। সেখানে মাত্র ৬ লাখ টাকা দিয়ে মেম্বারশিপ পাওয়র সুযোগ রাখা কিছুতেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না।
তারা বলছেন, ডিএসই সর্বশেষ মেম্বারশিপ বিক্রি করেছে ৩২ কোটি টাকার ওপরে। সেখানে এখন মাত্র ৬ লাখ টাকা দিয়ে মেম্বারশিপ পাওয়র সুযোগ করা দেয়া হচ্ছে।

বিএসইসির খসড়াই বলা হয়েছে, এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউজ) পাওয়ার অধিকার রাখেন।

প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাহিরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে রাখা হয়েছে- কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন যেসব প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি টাকা বা তার বেশি রয়েছে তারা ট্রেক পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে নিট সম্পদের পরিমাণ সব সময় পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের বেশি থাকতে হবে।

ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ ৫ লাখ টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে। অর্থাৎ মাত্র ৬ লাখ টাকা দিয়েই হওয়া যাবে ব্রোকারেজ হাউজের মালিক।

কোন প্রতিষ্ঠান ট্রেক পেলে তা হস্তান্তর করা যাবে না। আবার নিবন্ধন পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী স্টক-ডিলার বা স্টক-ব্রোকার’র সনদ নিতে হবে। এই সনদ নেয়ার ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে না পারলে ট্রেক বাতিল হয়ে যাবে।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, ৩২ কোটি টাকায় মেম্বরশিপ বিক্রি করেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেখানে একজন মাত্র ৬ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেকহোল্ডার (ব্রোকারেজ হাউজের মালিক) হয়ে কিভাবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সংক্রান্ত নীতিমালা হাস্যকার। এটি দেখে অবাক হয়েছি। বিএসইসি কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ