বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসে ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে চাপ বাড়ছে অর্থনীতির উপরও। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে। আজ বিকেল চার পর্যন্ত প্রায় এক দশমিক ৪৮ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে বিভিন্ন দেশ। এটিকে স্থগিত না বলে বাতিলই বলছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক। এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
রুবানা হক বলেন, ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের ক্রেতারা সব ধরনের ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে। যদিও তারা বলছে স্থগিত। তবে আমাদের জন্য এটি স্থগিত নয়, বাতিল।
তিনি আরও বলেন, সসর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ মার্চ পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের ১ হাজার ৮৯টি কারখানার ক্রয় আদেশ স্থগিত করেছে। ৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২টি পোশাক কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত গভীর সংকটের সময় পার করছে উল্লেখ করে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, একের পর এক পোশাক কারখানার ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে এ খাত ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। তাই কঠিন এ সংকটময় মুহূর্তে বায়ারদের ক্রয় আদেশ স্থগিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকরা। পাশাপাশি সংকট উত্তোরণে সরকারের কাছে দ্রুত অর্থায়নে জন্য বিশেষ তহবিল গঠনসহ নগদ প্রণোদনা চায় পোশাক উদ্যোক্তারা।
গত কয়েকদিন পোশাক ব্যবসায়ীরা বলে আসছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা লকডাউন হয়ে আছে। ফলে প্রত্যেক দেশের ক্রয় আদেশগুলো স্থগিত করে তারা বার্তা পাঠাচ্ছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এতে করে বড় ঝুঁকিতে পড়েছে পোশাক খাত। এভাবে চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া সম্ভব হবে না।
শেয়ারবার্তা / মিলন