বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে যে কোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের ওয়েটেড গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে এই আইন প্রণয়নের আগেই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির লেনদেন শুরু করায় নতুন নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। যে কারণে ওইসব শেয়ার লেনদেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএসই।
জানা গেছে, সিএসইতে বৃহস্পতিবারে ৮৫ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে বিএসইসির নির্দেশনার আলোকে। বাকি ৭১ কোম্পানির লেনদেনে বিএসইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। যাতে ওই ৭১ কোম্পানির লেনদেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএসই।
এদিকে বিএসইসির নির্দেশনার ব্যত্যয়ে ৭১ কোম্পানির কারণে সিএসইর সূচকে বড় পতন হয়েছে। সেটাও সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএসই কর্তৃপক্ষ।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রশীদ বলেন, কমিশনের নির্দেশনা পাওয়ার আগেই দুপুর ১টায় সিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে যায়। পরে নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করার ব্যবস্থা করি। এখন ওই লেনদেনে যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে, সেগুলো বাতিল করা হবে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে যেকোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের ওয়েটেড গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের বুধবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়ায় ২১৯.০০ টাকায়। তবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের ওয়েটেড গড় ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৩৫.৫০ টাকায়। এ হিসাবে শেয়ারটি লেনদেন শুরু হয় ২৩৫.৫০ টাকায়। কিন্তু ডিএসইর কারিগরি কারণে যেকোন কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান-পতনের সীমা ঠিক করে দিতে হয়। তাই গ্রামীণফোনের শেয়ারে কমপক্ষে ০.১ শতাংশ পতনের সীমা দিতে হবে।
ফলে শেয়ারটি ২৩৫.৫০ টাকায় লেনদেন হওয়ার সুযোগ থাকবে। একইসঙ্গে শেয়ারটির দর আগামীতে ২৩৫.৫০ টাকার নিচে নামতে পারবে না। তবে আগের সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী দর বাড়তে পারবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস