সার্কিট ব্রেকারের কেরেসমাতে পুঁজিবাজারে বড় ঝলক দেখা দিয়েছে। চার দিন দরপতনের পর সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন আনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক এক লাফে বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কের মধ্যেও সূচক বাড়লো দেশের উভয় পুঁজিবাজারে।
আজ বৃহস্পতিবার সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন আনতে গিয়ে তিন দফা সময় পিছিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেলা ২টায় লেনদেন শুরু হয়ে শেষ হয় আড়াইটায়। লেদেনদেন শেষ হলে দেখা যায়, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এর ঘরে ৩৯৭৪ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৭১ পয়েন্ট বা ১০.২৯ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সূচকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। সেদিন ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। তবে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ডিএসইর নতুন সূচক চালু হওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বড় উত্থান।
আধা ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকার বাজারে ৪৯ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৪১টির দাম বাড়ে, কমে ৪৯টির। তবে ১৫২টি শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারীতে আতঙ্ক শুরু হলে পুঁজিবাজারে নতুন করে ধস নামে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত চার কার্যদিবসে ডিএসইএক্স কমে যায় প্রায় ৬২৮ পয়েন্ট বা ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। কাল ডিএসইএক্স ১৬৮ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে, যা ৮২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
ক্ষতি কমানোর চেষ্টায় বুধবার রাতে দেশের দুই শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় ১ ঘণ্টা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। জানানো হয়, নতুন সূচিতে লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। তবে আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু না করে তিন দফা সময় পেছানোর পর তৈরি হয় বিভ্রান্তি। প্রথমে বেলা সাড়ে ১১টা, পরে বেলা ১টা এবং এরপর আবার পিছিয়ে বেলা ২টায় লেনদেন শুরুর সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান। ‘অনিবার্য’ কারণে লেনদেন বিলম্বিত হওয়ার কথা বলেন তিনি। একই কারণ দেখিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের সিনিয়র অফিসার তানিয়া বেগমও।
বাজার শেষ পর্যন্ত কখন শুরু হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সার্কিট ব্রেকারের নতুন আদেশ জারি করে। বলা হয়, ১৯ মার্চের আগের পাঁচ দিন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড় হবে ওই কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস। ওই দরেই বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হবে এবং ওই শেয়ারের জন্য তা ‘সার্কিট ব্রেকার’ হিসেবে গণ্য হবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস