শেয়ার দর উঠা-নামা নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক নতুন নির্দেশনায় পুঁজিবাজারের পতনের সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আজ থেকে যেকোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, গ্রামীণফোনের বুধবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২১৯.৫০ টাকায়। তবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের গড় ক্লোজিং দর দাড়িঁয়েছে ২৩৮.৮০ টাকায়। এ হিসাবে শেয়ারটি লেনদেন শুরু হবে ২৩৮.৮০ টাকায়। একইসঙ্গে শেয়ারটির দর আগামিতে ২৩৮.৮০ টাকার নিচে নামতে পারবে না। তবে আগের সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ি দর বাড়তে পারবে।
নির্দেশনা অনযায়ি, লেনদেন শুরুর আগেই গ্রামীণফানের শেয়ার দর আজ ১৯.৩০ টাকা বা ৮.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাড়াচ্ছে ২৩৮.৮০ টাকা। গ্রামীণফোনের মতো দেশের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের চিত্র প্রায় একইরকম। যাতে লেনদেন শুরুর আগেই প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান হবে। ফলে মূল্যসূচকে বড় উত্থান ঘটবে। একইসঙ্গে ডিএসইর আজকের ৩৬০৪ পয়েন্টের নিচে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, আজ সব কোম্পানির শেয়ার দর শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত গড় দরের নিচে শেয়ার নামতে পারবে না। তবে আগের নিয়ম অনুযায়ি শেয়ার দর বাড়বে। এছাড়া সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় দরের উপরে শেয়ার উঠা-নামা করতে পারবে।
উদাহরনস্বরুপ-গ্রামীণফোনের সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় ২৩৮.৮০ টাকা নিয়ে লেনদেন শুরু হয়ে প্রথম দিন যদি বাড়ে ১৫ টাকা। তখন শুধুমাত্র ওই ১৫ টাকাই কমার সুযোগ থাকবে। তবে নিয়মিত দর বাড়ার সুযোগ আছে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল