করোনাভাইরাস আতঙ্কে গত কয়েকদিন ধরে পুঁজিবাজারে ভয়াবহ পতন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন মহলে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ আপাতত পুঁজিবাজার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। তারা লেনদেনের সময় ১ ঘণ্টা কমিয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসইর পর্ষদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (১৮ মার্চ) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের জরুরী সভায় পুঁজিবাজার বন্ধ করা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এখনই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপাতত লেনদেন ১ ঘন্টা কমিয়ে দেড়টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ থেকে দেশের পুঁজিবাজারে বড় পতন হচ্ছে। যাতে সর্বশেষ ৮ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৮১ পয়েন্ট বা ১৮ শতাংশ। এরমধ্যে ৯ মার্চ রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬.৫২ শতাংশ পড়েছিল। এমন পতনের দিনেই পুঁজিবাজার বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে এই মুহূর্তে পুঁজিবাজার বন্ধ করা যৌক্তিক বলে মনে করছে না ডিএসইর পর্ষদ।
এরইমধ্যে ডিএসইর পর্ষদের লেনদেন বন্ধ না করার সিদ্ধান্তের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করছেন। তারা ডিএসইর লেনদেন কমানোর সিদ্ধান্তকে তামাশা বলেও মন্তব্য করছেন। ডিএসইর এই সিদ্ধান্ত কোন কাজে আসবে না বলে তাদের দাবি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফিলিপাইনে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন। গতকাল (১৭ মার্চ) থেকে দেশটির পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পুঁজিরবাজারে ব্যাপক পতনের জেরে আমেরিকা, ভারত ও পাকিস্তানের পুঁজিবাজার সাময়িক লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমেরিকায় ১৫ মিনিট, ভারতে ৪৫ মিনিট এবং পাকিস্তানে ৪৫ মিটি বন্ধ করা হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা।
শেয়ারবার্তা / আনিস