করোনাভাইরাসের কারণে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জরুরি বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপকে বেশকিছুদিন ধরেই বিশ্ব পুঁজিবাজারে ধস চলছে। যার নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও। তবে ৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ পেলে আতঙ্ক কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
এর প্রভাবে ৯ মার্চ পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স একদিনে রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর একে একে আট দিন চলে গেলেও বড় ধসের কবল থেকে বেরুতে পারেনি পুঁজিবাজার।
এর মধ্যে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারে বড় ধস নামলে দুপুরে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক’র নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিকুঞ্জে অবস্থিত ডিএসইর কার্যালয়ে যান। তারা ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখার জন্য আনুষ্ঠানিক দাবি জানান।
ডিএসইর এমডি বিনিয়োগকারীদের দাবি গ্রহণ না করে বলেন, সোমবার থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে। অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সবাই পুঁজিবাজারের জন্য কাজ করছে।
তবে সোমবার পতন হয় পুঁজিবাজারে। এর প্রেক্ষিতে ওই দিন বিকালে ব্যাংক মালিক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয় বুধবার থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়োনো হবে। এমন আশ্বাসের পরও বুধবার পুঁজিবাজারে ধস নামে।
এর প্রেক্ষিতে বিকালে জরুরি বৈঠকে বসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ। বৈঠকে লেনদেন সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল