ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সাধারণ হিসাবের সুদহার ৭ দশমিক ৫ ও মেয়াদি আমানতের সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশে ফিরেছে। যা মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ফলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আইআরডির জারি করা প্রজ্ঞাপনে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনার বিষয়টি অকার্যকর হয়ে গেলো।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে আগের সুদহার ১৭ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমে সুদহার অর্ধেক করায় সংসদের ভেতর ও বাইরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার মুখে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার হবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য সুদ পাওয়া যাবে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। দুই বছরের ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনের আগে এই হারই ছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার প্রায় অর্ধেক করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্র অনুযায়ী, সুদহার কমে যায় ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাবে। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার করা হয় ৬ শতাংশ, যা আগে ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মেয়াদপূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য সুদ মিলবে ৫ শতাংশ, আগে যা ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। দুই বছরের ক্ষেত্রে তা সাড়ে ৫ শতাংশ, আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এর আগে গত ১১ মার্চ কালো টাকা ও অতিরিক্ত বিনিয়োগ বন্ধে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে অনলাইন পদ্ধতি উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ এর এ নতুন মডিউলটি উদ্বোধন করা হয়। সেদিনই অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন ১৭ মার্চের মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদহার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ