করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে ফিলিপাইনে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে দেশটির পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকছে। দেশটিতে বন্ড, বিভিন্ন ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ এবং মুদ্রার লেনদেনও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ, রয়টার্স ও স্ট্রেইট টাইমসের/।
করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনই হচ্ছে প্রথম দেশ যেটি নিরাপত্তার স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন এভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এর বাইরে গত কয়েকদিনে আরও কিছু স্টক এক্সচেঞ্জে সাময়িকভাবে লেনদেন বন্ধ হয়েছে। তবে সেগুলো ঘটেছে ব্যাপক দরপতনে সূচক সার্কিটব্রেকার স্পর্শ করার কারণে।
করোনা-আতঙ্কে গত কয়েকদিন বিশ্বপুঁজিবাজারের পাশাপাশি ফিলিপাইনের বাজারেও ব্যাপক দর পতন হয়েছে। সোমবার দেশটির সূচক প্রায় ৮ শতাংশ কমে ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ-এশিয়ার বাজারেও ব্যাপক দর পতন হয়। ১৯৮৭ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পর এমন তীব্র দর পতন আর হয়নি দেশটিতে। কাল যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচক ১০ শতাংশের বেশি কমেছে। ইউরোপের বাজারগুলোতে সূচক ৬ থেকে ৭ শতাংশ কমেছে। কিন্তু দিনের প্রথমভাগে সেখানেও সূচক ১০ শতাংশের কাছাকাছি কমে গিয়েছিল। পরে তা কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনার বিস্তার ঠেকানোর পাশাপাশি বড় ধসের ঝুঁকি এড়ানোর বিষয়টিও ফিলিপাইনের পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ঘোষণার ঠিক আগের দিন (সোমবার) ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে পুরো দেশে এক মাসের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন।
দেশটিতে সোমবার পর্যন্ত ১৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত (কোভিড-১৯) সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এক ডজনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / মিলন