প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়ায় থাকা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ইস্যুমূল্যে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। আইপিও থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৮.৭২ টাকা (পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) এবং পুন: মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস ১৬.৬৫ টাকা। বিগত ৫ বছরের নীট মুনাফার ভাড়িত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১.৪২ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আইডিএলসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে পাবলিক ইস্যু রুলসের বিবি ৩(৩)(সি) এর বিধানাবলী পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে। এছাড়া আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত মূলধনের ২০% অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম-এ অংশগ্রহনে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্যদিবস শেষে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস,২০১৫ (সংশোধিত) বিবি ৩(৩)(সি) এর বিধানে বলা হয়েছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১০% অথবা ৩০ কোটি টাকা যেটি বেশি সেই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটির নিচে হবে না। এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সকে পাবলিক ইস্যু রুলসের এই বিধান পরিপালন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস