করোনাভাইরাসের কারণে একদিনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদমূল্য কমেছে ৩ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা।
গত সোমবার মার্কিন শেয়ারবাজারের এস অ্যান্ড পি ৫০০ ও ডাও জোনস সূচক ৮ শতাংশ হারে কমে যায়। ফলে ওইদিন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী প্যারিসভিত্তিক এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আরনল্টের সম্পদমূল্য ৬ শতাংশ কমে যায়। যা অর্থের দিক দিয়ে ৬০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর ফলে ওইদিন বার্নার্ডের মোট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
ওইদিন শেয়ার বাজার ধসের ফলে ৫৬০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সম্পদমূল্য কমে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের। এর আগের সপ্তাহেই ১ হাজার ৪১০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা সম্পদমূল্য হারান শীর্ষ এ ধনী।
সোমবার শেয়ারমূল্য কমার তালিকায় আরো আছে বার্কশায়ার হাথাওয়ের চেয়ারম্যান ওয়ারেন বাফেট। ওইদিন তার সম্পদমূল্য কমেছে ৫৪০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
এর পরই সম্পদ হারানোর তালিকায় আছেন আমেরিকা মোভিলে চেয়ারম্যান কার্লোস স্লিম। তিনি শেয়ার বাজার ধসের ফলে ৫০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ হারান।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে শেয়ারবাজারে ক্ষতির মুখে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। শেয়ার কমার ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ মূল্য কমেছে ৪২০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এ তালিকায় আরো আছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি হারিয়েছেন ৩৮০ কোটি ডলার বা ৩২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। অ্যালফাবেটের পরিচালক ল্যারি পেজ হারিয়েছেন ৩৩০ কোটি ডলার বা ২৮ হাজার কোটি টাকা। জারা ফ্যাশনের প্রতিষ্ঠাতা আমানিকো ওরতেগা হারিয়েছেন ২৮০ কোটি ডলার বা ২৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন হারিয়েছেন ১৮০ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ২৭০ কোটি টাকা।
তবে, ওই দিন শীর্ষ ধনী মাইকেল ব্লুমবার্গের সম্পদ কমেওনি বাড়েওনি। তিনি ব্লুমবার্গ এলপির প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বের দশম শীর্ষ ধনী।
এর আগে, ১৯৮৭ সালের এমন এক সোমবারে মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নামে। ওইদিন বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর ৯ জনের সম্পদমূল্য কমে যায়। যা অর্থের হিসাবে ১০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। ওই দিনটি বিশ্ব মহলে ‘ব্ল্যাক মানডে’ হিসেবে পরিচিত।
শেয়ারবার্তা / মিলন