1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজারে আবারও কাঁপন ধরানো দরপতন
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ এএম

পুঁজিবাজারে আবারও কাঁপন ধরানো দরপতন

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০
down

বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। বড় ধসের পর বড় উত্থান, আবার বড় পতন এমনভাবেই চলছে পুঁজিবাজার। বাজারের এ অবস্থাকে অস্বাভাবিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে সতর্কতামূলক ভিসা বন্ধ করে দেয়ার মতো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যার কারণে গত দুইদিনে শেয়ারের ক্রেতার চাহিদা থাকলেও বৃহস্পতিবারে তা কমে গেছে। যার কারণে সার্বিকভাবে সব ধরনের সূচকেরই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা গেছে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আবারও বড় ধরনের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় প্রায় আড়াই শতাংশ এবং সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক প্রায় দুই শতাংশ পড়ে গেছে।

অথচ এমন বড় পতনের আগে মঙ্গলবার ও বুধবার পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমে ১৫টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।

আর বুধবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৭৫ পয়েন্ট বাড়ে। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বাড়ে। বিপরীতে দাম কমে ৪০টির এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।

অবশ্য তার আগে সোমবার পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধস দেখা যায়। ওইদিন ডিএসইতে মাত্র ২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমে ৩৫২টির। আর ১টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৭৯ পয়েন্ট কমে যায়।

বাজারের এ চিত্র সম্পর্কে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, এখন পুঁজিবাজারে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তা অস্বাভাবিক। বাজারের এ চিত্র কারও কাম্য নয়। পুঁজিবাজারে উত্থান পতন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে হঠাৎ বড় ধস, এরপর আবার বড় উত্থান, আবার বড় ধস এটা কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বাজারের এ অবস্থা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে। আস্থায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ বখতিয়ার হাসান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সবার মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তেলের দামেও ব্যাপক পতন হয়েছে। এতে বিশ্ব পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার করোনা আতঙ্কে আমাদের পুঁজিবাজারে বড় ধস নামে। বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে বিশ্লেষণ করলে এ পতন ছিল স্বাভাবিক।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ