নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। আর এখন করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে পোশাকের বৈশ্বিক ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি উৎপাদন থেকে বিরত থাকতে বলছেন। গতকাল পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে আমরা এখন মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি। ব্র্যান্ডগুলো ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে তারা অব্যবহূত কাপড় রেখে দিতে বলছে। আর বৈশ্বিক চাহিদায় স্থবিরতার কারণে এখনো যারা উৎপাদনে আছে, তাদের জাহাজীকরণ থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এর প্রভাবে সম্ভাব্য তারল্য সংকটে পরিণতি হবে গুরুতর। উৎপাদনমুখী ইউনিটগুলো আর্থিকভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে যখন আমাদের বেতনসহ বোনাসও পরিশোধ করতে হবে, তখন রফতানি কমে যাওয়া ও জাহাজীকরণে ব্যর্থতার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আর কিছুই হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, দেশের তৈরি পোশাক খাতের ওভেন পণ্য তৈরির আনুমানিক ৬০ শতাংশ কাপড় চীন থেকে আমদানি হয়। বর্তমানে আমদানি ও জাহাজীকরণ বন্ধ আছে। এদিকে নিট পণ্য তৈরির আনুমানিক ১৫-২০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি হয়। নিট ও ডায়িংয়ের কেমিক্যাল ও অ্যাকসেসরিজের ৮০-৮৫ শতাংশ আমদানি হয় চীন থেকে। ফলে ওভেন ও নিট দুই ধরনের পণ্য প্রস্তুতকারকরাই সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন।
শেয়ারবার্তা / মিলন