দেশী-বিদেশী যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত প্রবাসীরা তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসীরা এ প্রণোদনা পাবেন না। আজ বুধবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ‘বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৮ অগাস্ট এ বিষয়ে যে নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছিল তাতে দুটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে-
এক. বাংলাদেশী শিপিং লাইন্স/ এয়ারলাইন্সের বিদেশস্থ অফিসে (বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) এবং বিদেশী শিপিং লাইন্স/ এয়ারলাইন্সে কর্মরত বাংলাদেশী মেরিনার/ এয়ার ক্রাফট পাইলটদের বিদেশস্থ আয় বাবদ বৈধ উপায়ে প্রেরিত রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবেন।
দুই. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে- জাতিসংঘ বা অন্যান্য সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশী মিশনে (বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) কর্মরত বাংলাদেশী কর্মকর্তারা বিদেশে অবস্থানকালে অর্জিত অর্থ বৈধ উপায়ে দেশে পাঠালে ওই অর্থের উপর তিনি নগদ সহায়তা পাবেন।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে ১০২ টাকা প্রণাদনা পাচ্ছেন।
বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত রেমিটেন্সে এ ধরনের প্রণাদনা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ৬ অগাস্ট তা প্রকাশ করা হয়েছে; তাতে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে প্রণোদনা পেতে ১ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত কোন ধরনের কাগজপত্র লাগবে না।
তবে রেমিটেন্সের পরিমাণ এই অংকের বেশি হলে প্রাপককে প্রেরকের পাসপোর্টের কপি এবং বিদেশী নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে।আর ব্যবসায়ী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবসার লাইসেন্সের কপি দাখিল করতে হবে।
শেয়ারবার্তা / মিলন