সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণ ফোনের। সর্বশেষ বিটিআরসি’র সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পর এখন শ্রমিক অসন্তোষের মুখে পড়ে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ। বেতন বন্ধ রাখা, বেতন বৃদ্ধি না করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের ডিউটি বন্ধ রাখা ইত্যাদি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আজ ১১ মার্চ বুধবার গ্রামীন ফোন লিমিটেডের সামনে আন্দোলন করেছেন বহুজাতিক কোম্পানিটির শ্রমিক-কর্মচারীরা।
গ্রামীণফোন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, আমাদের লাগাতার আন্দোলনের কারণ হলো গত ৭ বছরে আমাদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। ১২৬ জন শ্রমিক-কর্মচারীদের ডিউটি বন্ধ রাখার পাশাপাশি ২৮ জনের ২ মাসের বেতন বন্ধ রেখেছে গ্রামীণফোন।
এছাড়া শ্রমিক কল্যান ফান্ডে কোম্পানির মুনাফার ৫% দেওয়ার আইন থাকলেও ২০১০ সাল থেকে কোম্পানিটি তা দিচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, আমরা ২০১৮ সালে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করি। তারা সাব-কমিটির মাধ্যমে একটি সুপারিশ প্রদান করেন। তারপর আমরা দ্বিতীয় কল-কারখানা ডিসি সাহেবের কাছে যাই। ডিসি সাহেব গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাসহ একটি তদন্ত করে। তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছুর সত্যতা পেয়ে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ প্রদান করে। সর্বশেষ শ্রম-সচিব, শ্রমমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে পুলিশ মহা পরিদর্শক ছিলেন, কল-কারখানার ডিজি সাহেব ছিলেন, টেলিযোগাযোগ সচিব ছিলেন, গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন। গ্রামীন ফোন কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে মেনে নেয়, ১৫ দিনের মধ্যে সব সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। সেটা ছিল ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামীণফোন সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি। আর এই সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য আমরা গ্রামীণফোন শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
শেয়ারবার্তা / আনিস