বিডিংয়ের (নিলাম) মাধ্যমে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কাট-অফ প্রাইস ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করেছেন যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। এতে পুঁজিবাজারে কোম্পানিটি মাত্র সাড়ে ২৭ লাখের মতো শেয়ার ছাড়বে, যা এ কোম্পানির মোট শেয়ারের এক শতাংশেরও কম।
ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য গত ৭ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বিডিংয়ে অংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়।
এ অনুমোদনের ফলে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে গত ২ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশ নেন। এ সময়ের মধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেন ২৩৩ জন। এসব বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা করে ওয়ালেটনের শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দেন।
এর মধ্যে সব থেকে বেশিসংখ্যক যোগ্য বিনিয়োগকারী ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ২১০ টাকা দাম প্রস্তাব করেন। এই দামে ১৪ জন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বিনিয়োগকারী দাম প্রস্তাব করেন ১৫০ টাকা করে। এ দামে ১০ জন বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান।
তবে বিডিংয়ে বরাদ্দ ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ারের জন্য ৩১৫ টাকার ওপরে বিডিং হয়। ফলে কাট-অফ প্রাইস হিসাবে ৩১৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। ৩১৫ টাকা বা তার বেশি দামে ওয়ালটনের শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান মাত্র ৬৭ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী।
যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাব করা দামের ফলে ওয়ালটন পুঁজিবাজারে মাত্র ২৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৭টি বা দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করবে। এ হিসাবে পরিশোধিত মূলধন বাড়বে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৭০ টাকার বা দশমিক ৯২ শতাংশ। শেয়ারের এই স্বল্পতার কারণে কারসাজিকারদের জন্য দর উঠা-নামা করা সহজ হবে।
৩১৫ টকার ওপর দাম প্রস্তাব করা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রস্তাবিত দাম দিয়ে ওয়ালটনের ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি শেয়ার কিনবেন। বাকি শেয়ার কাট-অফ প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কমে বা ২৮৩ টাকা করে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ইস্যু করা হবে।
ওয়ালটনের রেড হেরিং প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, কোম্পানিটির গত ৫ বছরের ওয়েটেড ইপিএস ২৮ টাকা ৪২ পয়সা। আর এনএভিপিএস রয়েছে (পূণ:মূল্যায়নসহ) ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা।
আইপিওতে প্রিমিয়াম নিয়ে কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে চাইলে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসতে হয়। এ পদ্ধতিতে বিডিংয়ের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানি কত টাকা প্রিমিয়াম পাবে তা নির্ধারণ করে।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল