1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নারী বিনিয়োগকারাও
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ এএম

পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নারী বিনিয়োগকারাও

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০
DSE-CSE

পুঁজিবাজারে মন্দার কারণে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজি হারিয়ে পুঁজিবাজার ছাড়ছেন পুরুষ বিনিয়োগকারীরা। পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি নারী বিনিযোগকারীরাও শেয়ার ব্যবসায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। মন্দার কবলে পড়ে গত পাঁচ বছরে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন প্রায় দুই লাখ নারী। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

২০১০ সালে নারীদের বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে ধসের কারণে ওই বছর তাদের দুই লাখ বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৪ সালের দিকে আইপিওর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে আবারও আগ্রহী হয়ে ওঠেন নারীরা। ২০১৬ সালে নারী বিও অ্যাকাউন্ট বেড়ে দাঁড়ায় আট লাখ ৭০ হাজার।

পরবর্তীতে সময়ে আইপিওর সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারে অব্যাহত পতন শুরু হয়, যার কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি নারীদের আগ্রহে ভাটা পড়ে। যে কারণে কমতে শুরু করে তাদের বিও। বর্তমানে পুঁজিবাজারে নারীদের বিও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৪টি। অর্থাৎ এই পাঁচ বছরে নারী বিও সংখ্যা কমেছে এক লাখ ৮৫ হাজার।

পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানত দুই কারণে নারীরা পুঁজিবাজার ছাড়ছেন এর একটি হচ্ছে বাজারে আইপিও কম। দ্বিতীয়ত, সেকেন্ডারি মার্কেটে মন্দা পরিস্থিতি।

পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেন, নারী-পুরুষ উভয়ের বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমছে। তবে নারীদের বিও কমার প্রধান কারণ প্রাইমারি মার্কেটে মন্দা পরিস্থিতি। কারণ বেশিরভাগ নারীই প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগ করতে ভালোবাসেন। এটা করার কারণ, তারা ঝুঁকি নিতে চান না। সাম্প্রতিক সময়ে আইপিওতে লটারি বিজয়ী হতে প্রতিযোগিতা করতে হয়। অন্যদিকে লটারি বিজয়ী হলেও এখান থেকে ভালো মুনাফা করা যায় না। আবার নতুন কোম্পানি কম আসছে। যে কারণে নারীরা এই মার্কেটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নুর-ই-নাহারীন বলেন, বাজারে আইপিওর অফার থাকলে অনেকে এ শেয়ারের জন্য আবেদন করেন। যে কারণে বিও অ্যাকাউন্টও বাড়ে। পাশাপাশি সেকেন্ডারি মার্কেট ভালো থাকলেও বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরে আসেন। তখন এ ধরনের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারী আগের তুলনায় বাড়লেও এটা যথেষ্ট নয়। অনেক নারী পুঁজিবাজারে এসে আবার চলে যান। আমার জানামতে, এখনও অনেক নারীর বিও পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাই এগুলোকে নারীদের বিও বলা চলে না। এ বাজারের উন্নয়নে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ জরুরি।

একই প্রসঙ্গে জাহানারা জামান নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, আমার একটি সেকেন্ডারি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া পরিবারের অন্যদের নামে আরও কিছু অ্যাকাউন্ট ছিল। যেগুলো ব্যবহার করা হতো আইপিওতে আবেদন করার জন্য। পুঁজিবাজারে মন্দা পরিস্থিতি থাকার কারণে অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।

নিয়মানুযায়ী, জুন মাসে বিও ফি পরিশোধ না করলে অ্যাকাউন্ট এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যেসব হিসাবে শেয়ার কিংবা টাকা থাকে সেসব হিসাব বন্ধ হয় না। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর তফসিল-৪ অনুযায়ী, বিও হিসাব পরিচালনার জন্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী বা বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত হারে বার্ষিক হিসাবরক্ষণ ফি দিয়ে হিসাব নবায়ন করতে হয়।

এর আগে পঞ্জিকাবর্ষ হিসেবে প্রতি বছর ডিসেম্বরে এ ফি জমা নেওয়া হতো। তবে ২০১০ সালের জুন মাসে বিএসইসি বিও হিসাব নবায়নের সময় পরিবর্তন করে বার্ষিক ফি প্রদানের সময় জুন মাস নির্ধারণ করে। এ সময়ে বিও নবায়ন ফি ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়। এরপর বিএসইসির জারি করা ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এক সার্কুলারে ৩০ জুনের মধ্যে বিও হিসাব নবায়নের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। না হলে তা বাতিল করা হবে বলে ওই সার্কুলারে বলা হয়েছিল। বর্তমানে বিও নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ টাকা।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ